স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধনী জনসভায় পিরোজপুর থেকে ৬টি লঞ্চে ১৫হাজার নেতাকর্মী নিয়ে “মহিউদ্দিন মহারাজের নৌবহর।
এইচ এম জুয়েলঃ- স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধনী জনসভায় সফল করার লক্ষে পিরোজপুর জেলা প্রশাসক ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মহিউদ্দিন মহারাজের নেতৃত্বে ৬টি বিলাসবহুল লঞ্চ যোগে সাতটি উপজেলা থেকে ১৫ হাজার নেতাকর্মী নিয়ে নৌপথে আগামন করছেন।
(২৫ জুন) শনিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধন করবেন। এ উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে পিরোজপুর জেলা প্রশাসক ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মহিউদ্দিন মহারাজের নেতৃত্বে জেলা ও উপজেলা থেকে (পদ্মা সেতুর লোগোসমৃদ্ধ টি শার্ট) পরিহিত করে ১৫হাজার আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী, জনপ্রতিনিধি, পেশাজীবীসহ বিভিন্ন স্তরের মানুষ সমাবেশে যোগ দেবেন।
এদিকে স্বপ্নের পদ্মা সেতু ঘিরে দেশের স্মরণকালের সর্ববৃহৎ জনসমাবেশ করতে যাচ্ছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আবহাওয়ার পরিবেশ অনুকূলে থাকলে ১০ লক্ষের অধিক মানুষ সমাবেশে যোগদান করবেন এবং সর্বস্তরের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এই লঞ্চের মাধ্যমে” কীর্তনখোলা-১০, যুবরাজ-৭, সুরভী-৯, পারাবত-৮, মর্নিংসান-৯ ও ঈগল-৮ লঞ্চযোগে সমাবেশে অংশ নিয়েছেন তারা।
এই মহাসমাবেশের পিরোজপুর থেকে নেতাকর্মীদের সার্বিক ব্যবস্থাপনা সহযোগিতায় আছেন ভান্ডারিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান মিরাজুল ইসলাম। তিনি মহিউদ্দিন মহারাজের মেজ ভাই।
জানা গেছে, ভান্ডারিয়া উপজেলার লোকজন চরখালী লঞ্চ ঘাট থেকে কীর্তনখোলা-১০ ও যুবরাজ-৭ লঞ্চে উঠবেন। মঠবাড়িয়া উপজেলার বড়মাছুয়া ষ্টিমার ঘাট থেকে সুরভী-৯ লঞ্চে, ইন্দুরকানী উপজেলার ইন্দুরকানী লঞ্চ ঘাট থেকে পারাবত-৮ লঞ্চে এবং কাউখালী উপজেলার লোহজন কাউখালী লঞ্চঘাট থেকে মর্নিংসান-৯ লঞ্চে উঠবেন
এছাড়া হুলারহাট বন্দর লঞ্চ ঘাট থেকে ছেড়ে যাবে ঈগল-৮ লঞ্চ। এ লঞ্চে পিরোজপুর সদর উপজেলা, নাজিরপুর ও নেছারাবাদ (স্বরূপকাঠী) উপজেলার লোহজন উঠবেন। লঞ্চগুলো ২৪ জুন বিকেল ৪টায় সংশ্লিষ্ট ঘাট তেকে ছেড়ে গিয়ে সকল লঞ্চ কাউখালী আমরাজুরী ফেরিঘাটে একত্রিত হবে। সেখানে মহিউদ্দিন মহারাজের নেতৃত্বে আতশবাজি ফুটানোসহ বিভিন্ন ধরণের আনন্দ-উৎসব সম্পন্ন করে একযোগে লঞ্চগুলো কাঠালবাড়ী ঘাটের উদ্দেশ্যে রওয়ানা করবে। লঞ্চগুলো ২৪ জুন রাতে কাঠালবাড়ী ফেরিঘাটে পৌঁছে সেখানে অবস্থান করবে এবং ২৫ জুন সকাল ৮টায় নেতাকর্মীদের নিয়ে সমাবেশস্থলে যোগদান করে আবার নিজ গন্তব্যে ফিরে আসবে।
এবিষয়ে পিরোজপুর জেলা পরিষদ প্রশাসক ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মহিউদ্দিন মহারাজ বলেন, এই সেতুর কারণে পিরোজপুরসহ দক্ষিণ-পশ্চিম ঞ্চলের সাথে রাজধানী ঢাকার যোগাযোগ ব্যবস্থায় মানুষের আর্থসামাজিক উন্নতি ও অর্থনৈতিক বিপ্লব ঘটবে।