নিজস্ব প্রতিনিধি :- পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়া উপজেলার ভিটাবাড়িয়া চার নং মেদিরাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠে। এই অভিযোগের ভিত্তিতে বিদ্যালয়ের নৈশ প্রহরী কাম দপ্তরি বিপ্লব মিস্ত্রীকে (৩৫) ভান্ডারিয়া থানা পুলিশ (৭ এপ্রিল) বৃহস্পতিবার গ্রেফতার করেন।
উক্ত বিদ্যালয়ের নৈশ প্রহরী কাম দপ্তরি মেদিরাবাদ এলাকার যশোদা মিস্ত্রীর ছেলে বিপ্লব মিস্ত্রী। তবে তার এই অপকর্মের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির ভিডিও ক্লিপ দৈনিক তৃণমূল সংবাদ এর কাছে রয়েছে।
ঘটনা সুত্রে জানা যায় গত মঙ্গলবার দুপুরে যোহরের নামাজের জন্য ওই ছাত্রীর বিদ্যালয়ের দোতালার একটি রুমে থাকাকালীন তাকে একা পেয়ে দপ্তরি জড়িয়ে ধরে শ্লীলতাহানি করেন। এ সময় অন্য এক শিক্ষার্থী বিষয়টি দেখে ফেললে ওই রুম থেকে বিপ্লব কেটে পড়ে।
বিষয়টি নিয়ে অভিভাবক মহল ও স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
শিক্ষার্থীরা লোক লজ্জার ভয়ে প্রকাশ না করলেও, বৃহস্পতিবার বিদ্যালয় ও এলাকায় এ ঘটনা নিয়ে জানাজানি হলে। পরে প্রধান শিক্ষক ও বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটি লোকজন বৈঠকে বসে মীমাংসার চেষ্টা করেন।
এ সময় উত্তেজিত এলাকাবাসী ৯৯৯ নম্বরে ফোন করলে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বিপ্লবকে আটক করেন এবং এ ঘটনায় মেয়ের বাবা বিচার চেয়ে থানায় অভিযোগ দিলে তাহার ভিত্তিতে অপরাধী বিপ্লবের বিরুদ্ধে ভান্ডারিয়া থানায় নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে বৃহস্পতিবার মামলা দায়ের হয়। মামলা নং ০৫/২০২২ইং।মামার তদন্তকারী কর্মকর্তা,এস আই মোঃ হুমায়ুন কবির বলেন আমরা জাতীয় কল সেন্টার 999 কল পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছি উত্তেজিত জনতাকে সামাল দিতে আসামিকে আটক করি।
স্থানীয়রা জানায়, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বরুন কুমার মিত্র এই ঘটনায় বৈঠকের নামে আসল ঘটনা দামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করেছিল। এর আগেও বিপ্লব মিস্ত্রীর বিরুদ্ধে বহু অভিযোগ থাকলেও তিনি কোনো ব্যবস্থা নেননি।
ভাণ্ডারিয়া থানার পরিদর্শক মো: মাসুমুর রহমান বিশ্বাস জানান, মেয়ের বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেপ্তারকৃত নৈশ প্রহরী কাম দপ্তরির বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে এখন কোর্টে প্রেরণ করা হবে।