এইচ এম জুয়েল:- জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শততম জন্মবার্ষিকী ও শিশু দিবস উপলক্ষে ভাণ্ডারিয়া উপজেলা দিন মধ্য পৈকখালী শিল্পপতি জিয়া হায়দার মিঠুর বাগানবাড়িতে মজিদ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে শিশু-কিশোরদের নিয়ে পরিদর্শন ও মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করা হয়েছে।
গত ১৯ মার্চ শনিবার মজিদ ফাউন্ডেশনের বাংলোতে শিশু-কিশোরদের নিয়ে এই আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও ঢাকা জজ কোর্টের আইনজীবী মোঃ সিদ্দিকুর রহমান খান, হাইকোর্টের আইনজীবী মোঃ শাহরিফ হোসেন সুমন, মোহনা টেলিভিশনের সাংবাদিক এইচ এম জুয়েল ও তাদের পরিবার বর্গ।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন মানবাধিকার কর্মী মোঃ কবির হাওলাদার ও দৈনিক সমকালের ভান্ডারিয়ার সাংবাদিক মোঃ সগীর হোসেন সহ বিভিন্ন পেশার মানুষ।
এ সময় মজিদ ফাউন্ডেশনের স্বত্বাধিকারী বাংলাদেশ ব্যবসায়ী শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের মেম্বার শিল্পপতি জিয়া হায়দার মিঠুর গ্রামীণ বাংলোর হলরুমে প্রায় অর্ধশতাধিক শিশু-কিশোরদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর জীবনী ও শিশু দিবসের উপহার এক সংক্ষিপ্ত আলোচনা করে এডভোকেট মোঃ সিদ্দিকুর রহমান খান।
এদিকে নিজ গ্রামে কয়েক একর জমির উপর বিভিন্ন প্রকার ফলজ বনজ ও ঔষধি গাছের বাগান গড়ে তোলেন শিল্পপতি জিয়া হায়দার মিঠু এখানে এক ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়ে হাজার হাজার জলপাই গাছ রোপন করেন। এ বাগান সম্বন্ধে জানতে চাইলে বাগানবাড়ির তত্ত্বাবধানকারী মোঃ রাজিব আকন বলেন মিঠু স্যার বহির কান্ট্রিতে বাংলাদেশি বিভিন্ন প্রকার ফল রপ্তানি করে থাকেন, সেই সুবাদে নিজ বাড়ি সংলগ্ন কয়েক একর জমির উপর দেশীয় ফল জলপাই বাগান গড়ে তোলেন। তবে এই ফল অপচয় ও চুরি হবার সম্ভাবনা খুবই কম।
মানবাধিকারকর্মী মোঃ কবির হাওলাদার বলে মজিদ ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে অত্র এলাকায় বিভিন্ন সামাজিক ও ধর্মীয় কাজে সহায়তা করে যাচ্ছে এবং দৃষ্টিনন্দন এই ছায়া ঘেরা জলপাই বাগানে পিকনিক ও ঘুরতে আসে বহু মানুষ।
ভান্ডারিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুনের পরামর্শে উদ্ভিদ সংরক্ষণ অফিসার মোঃ লুৎফুর রহমান উক্ত বাগানের উদ্ভিদের ভালো-মন্দ দিক দেখভাল করেন এবং পরামর্শ দিয়ে থাকেন। কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন এখানকার মাটি জলপাই বাগানের জন্য খুবই উপযোগী এবং ফলন খুব ভালো উক্ত জলপাই থেকে ক্ষুদ্র কুটির শিল্পের অপার সম্ভাবনা রয়েছে, পাশাপাশি বিদেশে রপ্তানী করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব।
এদিকে নিজ উদ্যোগে এই ফলের বাগান তৈরি করায় উদ্যোক্তা হিসেবে মজিদ ফাউন্ডেশনকে বাগেরহাট আঞ্চলিক কৃষি বিভাগ থেকে সম্মাননা স্মারক দেওয়া হয়েছে।