—–শ ম রেজাউল করিম’মন্ত্রী
এইচ এম জুয়েল:- দুর্দিনের আওয়ামী লীগের বিশ্বাসী ও ত্যাগী নেতাকর্মীরা সাথে না থাকলে আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রক্ষমতায় আসতে পারতো না।পরীক্ষিত নেতাকর্মীদের দলের সামনে নিয়ে আসার আহ্বান জানান। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
শনিবার (৩০ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রাজধানীর হাতিরপুল ফিকামলি জিম সেন্টারে সাবেক ছাত্রনেতা আলতাফ হোসেনের স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী বলেন আলতাফ হোসেন ছিল দলের দুর্দিনের কাণ্ডারি ১৯৯০ সালে স্বৈরাচারবিরোধী গণঅভ্যুত্থানের সময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মী নিয়ে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলেন। এই মুজিব সেনানীর জন্য আমরা তেমন কিছু করতে পারিনি। তার অসুস্থ সময় আমি হসপিটালে গিয়েছিলাম দেখতে। প্রধানমন্ত্রী তার বিশ্বস্ততার মারফত খোঁজখবর নিতেন। তার আপন ছোট ভাই এ কে এম জহরুল হক (হাইকোর্টের বিচারপতি) রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করতেছেন। আমরা এর আগে হারিয়েছিলাম ছাত্রলীগের আরেক বর্ষিয়ান নেতা মনিরুজ্জামান বাদল কে। দুঃখজনক এদের অকাল মৃত্যু কারো কাম্য ছিলনা তাদের রুহের মাগফেরাত কামনা করছি । তাদের মতো যারা ত্যাগী নেতাকর্মী আছে তাদের পুনর্বাসনের উদ্যোগ নিতে হবে। তাদের মূল্যায়ন করতে হবে। দুর্দিনের আওয়ামী লীগ ও ত্যাগী নেতাকর্মীরা না থাকলে আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রক্ষমতায় আসতে পারতো না। আওয়ামী লীগের শক্তি হচ্ছে মাঠে থাকা ত্যাগী কর্মীরা। আওয়ামী লীগের প্রকৃত কর্মীরা কখনো বিশ্বাসঘাতকতা করেনি। যখনই ক্রান্তিকাল এসেছে কর্মীরা দলের পাশে দাঁড়িয়েছে।
নতুন করে ১৯৭৫ এর ঘাতক রা আবারো ষড়যন্তের পাঁয়তারা করতেছে, দলের নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপর একাধিকবার হামলা করেছিল আল্লাহর অসীম রহমতে তিনি বেঁচে আছেন। তৃণমূলের সকল নেতাকর্মীরা একজোট হয়ে দলকে এগিয়ে নিয়ে ঘাতকদের নির্মূল করতে হবে।
শিক্ষাবিদ আন্তর্জাতিক পাখি বিশেষজ্ঞ ড.আব্দুল ওয়াদুদের সভাপতিত্বে স্মরণসভায় বিশেষ অতিথিরা তার বাল্যকাল, ঢাকা ভার্সিটি ও রাজনৈতিক সহ বিভিন্ন দিক নিয়ে বক্তব্যের মাধ্যমে স্মৃতি স্মরণ করে বলেন তৎকালীন দলের দুর্দিনে আলতাফ ছিল প্রেরণা এই সাহসী ত্যাগী নেতা দলের জন্য হামলা-মামলা জেল জুলুমের শিকার হয়েছিল আমরা তার রুহের মাগফেরাত কামনা করছি । উপস্থিত সাবেক উপাচার্য অহিদুজ্জামান চান নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শাহাব উদ্দিন ফরাজী, মাইনুদ্দিন হাসান চৌধুরী সাবেক সভাপতি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম বাবুল, যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক নেতা শফিকুল ইসলাম, সরোয়ার হোসেন তালুকদার সাবেক কমিশনার তেজগাঁও ঢাকা, মোঃ জামিল হোসেন পলাশ সভাপতি ১৬ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ ঢাকা, কাজী ওহিদুজ্জামান বাচ্চু সাবেক ভিপি ভাণ্ডারিয়া সরকারি কলেজ, অধ্যক্ষ আবুল বাশার আওয়ামী লীগ নেতা, এডভোকেট সিদ্দিকুর রহমান খান কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা, ঢাকা জজকোর্টের এডভোকেট মোঃ শাহরিয়ার সুমন সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, আইনজীবী, সামাজিক ও সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য: ১৯৬৬ সালে জন্ম নেওয়া এই রুচিশীল সুষম দেহের অধিকারী মানুষটির সহপাঠী, সহযোদ্ধারা ঘর সংসার সহ উচ্চ বিলাসী রঙিন জীবন যাপন করলেও হতভাগা মুজিব সেনানী ব্যাচেলর জীবন নিয়ে ৫৫টি বছর কেটে গেছে জেল, জুলুম, নির্যাতন আর বঞ্চনায়। হাতের কাছে সুখের পাখিটা উড়লেও ধরা দেয়নিতা তার জীবনে। অবশেষে এক বুক ব্যথা ও এক রাস অভিমান নিয়ে গত বৃহস্পতিবার (2 September) পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার পৈকখালী গ্রামে নিজ বাড়িতে হৃদযন্ত্র ক্রিয়া বন্ধ হয়ে অভিশপ্ত জীবন থেকে মুক্ত হয়ে চলে গেলেন না ফেরার দেশে। তার জানাজায় অংশ নিয়েছিলেন রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ কিছু কর্মকর্তা, রাজনৈতিক, সামাজিক, বিভিন্ন পেশার হাজার জনতা।