জমি বিরোধকে কেন্দ্রকরে প্রতিপক্ষরা মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে বাদীকে হয়রানির চেষ্টা
ভান্ডারিয়া প্রতিনিধি :- পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ায় ধাওয়া, রাজপাশা গ্রামের জমা জমি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ থাকায় স্থানীয় সালিশী রোয়দাদ এর মাধ্যমে মীমাংসা পরেও মামলা-মোকদ্দমা চলছে। জমির মালিক মিন্টু হাওলাদারের সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন। একই বাড়ির রিপন হাওলাদার গং দীর্ঘদিন যাবৎ আমার পরিবারকে বিভিন্ন রকম হয়রানি করে আসছে। তারা আমার পৈত্রিক সম্পত্তি অবৈধভাবে জবর দখল করার চেষ্টাটা করছে ।
ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার বিকালে উপজেলার ধওয়া ইউনিয়নের রাজপাশা গ্রামে। ভুক্তভোগি মিন্টু হাওলাদা বলেন পৈত্রিক সুত্রে আমার বাবা মৃত নুরুল ইসলাম হাওলাদরের রেখে যাওয়া ৪৭ শতাংশ জমি ২০১৮ সনে আমার নামে কোর্ট থেকে ডিক্রি প্রাপ্ত হাওয়ায় সম্পত্তি প্রতিপক্ষ সোহরাপ হাওলাদারের ছেলেরা রিপন হাওলাদার গং জবর দখলের চেষ্টা করে যাচ্ছে। এ নিয়ে স্থানীয় পর্যায়ে গণ্যমান্য ব্যক্তিরা সালিশি মীমাংসার মাধ্যমে আমার পক্ষে গত ২৭-৩-২১ তারিখ কাগজপত্র যাচাই করে সালিশ গং আমার পক্ষে রোয়েদাদ দেয়। সেই মোতাবেক গত ফেব্রুয়ারি মাসে উক্ত সম্পত্তিতে ঘর তুলতে গেলে প্রতিপক্ষ রিপন হাওলাদার গং তাদের দলবলরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আমার নির্মাণকৃত টিনের ঘরখানা সম্পূর্ণরূপে ভেঙেচুরে তছনছ করে এবং আমার পরিবারের মেয়ে-ছেলের উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে হত করে । এবং জাতীয় নিরাপত্তা ৯৯৯ কল সেন্টারে ফোন দিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেয়, ঘটনাস্থলে পুলিশ চলে আসে উপস্থিত পুলিশ কে আমাদের মোবাইলে ধারণকৃত ঘর ভাঙচুর ও মারা মারির ভিডিও দেখালে তারা হতভম্ব হয়ে যায়।
এ বিষয়ে ভান্ডারিয়া থানায় ১৮-২-২১ তারিখ ঘর ভাংচুর ও মারা মারির ঘটনায় বিবাদীদের নাম দ্বারা মোঃ রিপন হাওলাদার সহ ৪ জন ও অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে মামলা দি সেই মামলা বিজ্ঞ আদালতে চলমান।
আমার উক্ত জমির উপর বিবাদী রিপন গং কোর্টে থেকে ৪৪ দারা জারি করলে, পিরোজপুর কোর্ট থেকে তদন্তভার ভাণ্ডারিয়ার সহকারী কমিশনার (ভূমি) উপার নস্ত হয়, তিনি সরজমিনে গিয়ে কাগজপত্র যাচাই করে ও স্থানীয় লোকদের সাক্ষ্য নিয়ে রিপন গং দের সত্যতা না পেয়ে আমার পক্ষে গত ৬-৬-২১ তারিখ পিরোজপুর কোটে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।
এদিকে সংবাদকর্মীরা সরেজমিনে গিয়ে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানতে পারেন। গত মঙ্গলবার মিন্টু হাওলাদার নিজ জমিতে পুনরায় ঘর তুলতে গেলে প্রতিপক্ষরা বাধা সৃষ্টি করে এবং জাতীয় কল সেন্টার ৯৯৯ কল দিলে ভান্ডারিয়ার থানা পুলিশ তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে দেখতে পায় ঘটনাটি জমিজমা বিরোধ সংক্রান্ত বিষয়। থানা উপ পরিদর্শক ফারুক হোসেন ঘটনাস্থলে মিন্টু হাওলাদারের ঘর ভাঙচুর মামলা ৪ নম্বর আসামি রিপন হাওলাদারের স্ত্রী মোসাম্মৎ হোসনে আরা বেগমের সাথে কথা বলে জানতে চান বারবার কেন ৯৯৯ ফোন দিয়ে নিরহ মানুষকে হয়রানির করেন। পুলিশ উভয়কে শান্ত থাকার পরামর্শ দিয়ে জমির মালি মিন্টু হাওলাদারকে জমির কাগজপত্রসহ থানায় আসতে বলে পুলিশ চলে গেলে মিন্টু কাগজপত্র নিয়ে ভান্ডারিয়া চলে যান।
কথিমধ্যে প্রতিপক্ষ বিবাদীদের মধ্যে রিপন এর স্ত্রী হোসনে আরা বেগম মাথায় আঘাত নিয়ে ভান্ডারিয়া হসপিটালে ভর্তি হন। এবং বুধবার ভান্ডারিয়া থানায় একটি অভিযোগপত্র দাখিল করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে থানা পুলিশ বৃহস্পতিবার সরোজমিন পরিদর্শন করেন।
সাংবাদিকদের সাথে মিন্টু হাওলাদারের মা মোছাম্মদ জাহেদা বেগম বলেন, প্রতিপক্ষ রিপন দের সাথে ৪৭ শতাংশ জমি নিয়ে বিরোধ ছিলো তা বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যেমে ইতিপূর্বে আমরা হক সুপার আদেশ ও ডিক্রি পেয়েছি এবং এমনকি ওই জমি আমার স্বামী মৃত নুরুল ইসলাম এর নামে ২৪৪০ নং দলিল মূলে রেজিস্ট্রি হয়। বর্তমানে ওই জমির আমরা মালিক হলেও বিভিন্ন অংশ প্রতিপক্ষরা অবৈধ ভাবে দখল চেষ্টা করছে ।
এ ছাড়া এর আগেও কয়েক বার মিথ্যা গল্প সাজিয়ে আমাদের বিপদে ফেলতে জাতীয় জরুরী সেবা (৯৯৯) নম্বরে কল দিয়ে হয়রানি করে আসছে। প্রতিপক্ষ মোসাম্মৎ হোসনে আরা মঙ্গলবার ঘটনাস্থলে উপস্থিত পুলিশের সাথে কথা বললেও পুলিশ চলে যাওয়ার কিছুক্ষণ পর ষড়যন্ত্র করে নিজেদের মাথায় নিজেরা বেলেট দিয়ে জখম করে আমাদেরকে ফাঁসানোর জন্য হসপিটালে ভর্তি হন।
এ বিষয়ে প্রতিপক্ষ হোসনে আরার কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, জমিজমার বিরোধে তিনি ও তার শাশুরী আহত হয়েছেন। এখন আমরা হাসপাতালে আছি।