স্বাধীন বাংলাদেশে ৫০ বছরে বাজেট বেড়েছে ৭৬৮
যা প্রথম বাজেট থেকে ৭৬৭.৯৬ গুণ বেশি ।
এইচ এম জুয়েল:-স্বাধীন বাংলাদেশে ৫০ বছরের যত বাজেট স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে বাংলাদেশে প্রথম বাজেট ঘোষণা করা হয় ৫০ বছরে বাজেট বেড়েছে ৭৬৮ গুণ উন্নয়নের অগ্রযাত্রায়ও উজ্জ্বল অবস্থানে। অর্থনীতির অগ্রযাত্রার এরই মধ্যে স্বীকৃতি মিলেছে বিশ্ব সভায়। জাতিসংঘের কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসির (সিডিপি) চূড়ান্ত সুপারিশে উন্নয়নশীল দেশের তালিকায়। যার আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি মিলবে ২০২৬ সালে। এই অগ্রযাত্রা সূচনা হয়েছিল ১৯৭২ সালে। স্বাধীনতা পরবর্তী এক ধ্বংসস্তূপের ওপর দাঁড়িয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সরকার প্রথমবারের মতো ৭৮৬ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা দেয়। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর বছরে যার আকার হতে যাচ্ছে ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা। যা প্রথম বাজেট থেকে ৭৬৭.৯৬ গুণ বেশি।
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বাজেটে স্বাক্ষরের পর স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে শুরু হওয়া বাজেট অধিবেশনে উপস্থিত রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মন্ত্রীদের মধ্যে উপস্থিত রয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, তথ্যমন্ত্রী ড হাছান মাহমুদ প্রমুখ।
মহামারি করোনার ধাক্কা সামলাতে এবারের বাজেটে আয়ের দিকে বেশি নজর দিচ্ছে সরকার। ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এটি মোট জিডিপির ১৭ দশমিক ৪৭ শতাংশ। সেজন্য বাজেটে মোট আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৯২ হাজার ৪৯০ কোটি টাকা। যা জিডিপির ১১ দশমিক ৩৫ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ৩৬ হাজার ৯৭৩ কোটি টাকা বেশি।
একই সঙ্গে এটি দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ঘাটতির বাজেট হতে যাচ্ছে। ৫০তম এ বাজেটে অনুদানসহ ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়াচ্ছে ২ লাখ ১১ হাজার ১৯১ কোটি টাকা। যা জিডিপির ৬ দশমিক ১ শতাংশ। অনুদান বাদ দিলে ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়ায় ২ লাখ ১৪ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা।
তবে, ঘাটতি পূরণের বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, এজন্য অভ্যন্তরীণ খাত থেকে ঋণ নেওয়া হবে এক লাখ ১৩ হাজার ৪৫৩ কোটি টাকা। বৈদেশিক খাত থেকে নেওয়া হবে ৯৭ হাজার ৭৩৮ কোটি টাকা। অভ্যন্তরীণ খাতের মধ্যে ব্যাংকিং খাত থেকে ঋণের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭৬ হাজার ৪৫২ কোটি টাকা, সঞ্চয়পত্র থেকে ৩২ হাজার কোটি টাকা এবং অন্যান্য খাত থেকে নেওয়া হবে ৫ হাজার এক কোটি টাকা।
অর্থ মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন সূত্রানুযায়ী, ১৯৭২ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ৪৯ বছরে দেশে ৪৯টি বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদ অর্থ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী হিসেবে স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথম ৭৮৬ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা দেন। ২০১৮ সালে দেওয়া আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) তথ্য অনুযায়ী, বাজেটের আকারের দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল বিশ্বে ৬৪তম। যার অগ্রযাত্রা আরও এগিয়ে যাচ্ছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী হিসেবে কখনও প্রধানমন্ত্রী, কখনও উপদেষ্টা, আবার কখনও রাষ্ট্রপতিও বাজেট ঘোষণা করেছেন। এখন পর্যন্ত ১২ জন ব্যক্তি দেশের ৪৯টি বাজেট পেশ করেছেন। এর মধ্যে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বাধীন সরকারের অর্থমন্ত্রী হিসেবে তাজউদ্দীন আহমদ তিনটি, আজিজুর রহমান মল্লিক একটি, সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান তিনটি, এম এন হুদা একটি, এম সায়েদুজ্জামান চারটি, মেজর জেনারেল এম এ মুনিম দুটি, ওয়াহিদুল হক একটি, শাহ এ এম এস কিবরিয়া ছয়টি, মির্জ্জা মো. আজিজুল ইসলাম দুটি, এম সাইফুর রহমান ১২টি ও আবুল মাল আবদুল মুহিত ১২টি ও আ হ ম মুস্তফা কামাল দুটি বাজেট পেশ করেন। বৃহস্পতিবার (৩ জুন) আ হ ম মুস্তফা কামাল তার তৃতীয় বাজেট ঘোষণা করেন। প্রথম বাজেটের পর এক হাজার কোটি টাকার বাজেট দিতে অপেক্ষা করতে হয়েছিল তিন বছর। ১৯৭৪-৭৫ তাজউদ্দীন আহমদ ঘোষণা দেন এক হাজার ৮৪.৩৭ কোটি টাকার বাজেট। বাজেটের আকার হাজার কোটি থেকে এক লাখ কোটিতে উন্নীত হতে সময় লেগেছে ২১ বছর। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের সময়। এর ১০ বছরের মাথায় একই ২০১৯-২০ সালে একই সরকার ৫ লাখ ২৩ হাজার কোটি টাকার বাজেট দেন বর্তমান অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
এবার বাজেটে দাম বাড়তে পারে যেসব পণ্যের।
আমদানি করা বিলাসী পণ্য যেমন- বডি স্প্রে, প্রসাধনী পণ্য, জুস, প্যাকেটজাত খাদ্য প্রভৃতি আমদানিতে নতুন করে শুল্ক আরোপ হতে পারে। ফলে এসব পণ্যের দাম বাড়তে পারে।
অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের কারণে এবারের বাজেটে তামাকজাত পণ্যে স্ল্যাব অনুসারে শুল্ক আরোপ হবে। এনবিআর সূত্র অনুসারে, সিগারেটের ক্ষেত্রে মধ্যম সারির একটি স্ল্যাবে দাম বাড়তে পারে।
অগ্রিম কর আরোপের কারণে দাম বাড়বে অ্যালকোহল জাতীয় মাদকদ্রব্যের। প্রস্তাবিত বাজেটে মদ আমদানিতে অগ্রিম কর ২০ শতাংশ বাড়তে পারে।
ভ্যাট আরোপের কারণে খুচরা পর্যায়ে স্যানেটারি টেবিল ওয়্যার, কিচেন ওয়্যার ও টাইলসের দাম বাড়তে পারে।
দেশীয় পণ্য সুরক্ষায় শুল্ক আরোপে আমদানি করা স্মার্টফোনের দাম আরেক দফা বাড়তে পারে। সেক্ষেত্রে সুবিধা পাচ্ছে দেশীয় কোম্পানিগুলো।
দেশীয় কৃষিপণ্য সুরক্ষায় আমদানি করা ক্যাপসিকাম ও বেবিকর্নের ওপর শুল্ক আরোপের ফলে এসব পণ্যের দাম বাড়তে পারে।
দাম কমতে পারে যেসব পণ্যের।
মাইক্রোবাস ও হাউব্রিড গাড়ির দাম কমতে পারে। একই কারণে দাম কমতে পারে স্থানীয় পর্যায়ে উৎপাদিত কৃষি যন্ত্রপাতি ও যন্ত্রপাতির সরঞ্জামের।
প্রস্তাবিত বাজেটে বিদ্যমান ২২টির পাশাপাশি আইটি খাতের আরও নতুন পাঁচটি সেবাকে কর অব্যাহতি সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। সেবাগুলো হচ্ছে- ক্লাউড সার্ভিস, সিস্টেম ইন্টিগ্রেশন, ই-লার্নিং প্লাটফর্ম, ই-বুক পাবলিকেশন, মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট সার্ভিস ও ফ্রিল্যান্সিং। ফলে এসব সেক্টর থেকে কম মূল্যে সেবা মিলতে পারে।
অন্যদিকে, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং খাতে আমদানি নির্ভরতা কাটিয়ে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার জন্য শিল্পোদ্যোক্তা তৈরিতে এমন সুবিধা দেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে। ফলে এসব সেক্টরের যন্ত্রপাতির দাম কমবে।
দাম কমার তালিকায় যুক্ত হতে পারে কম্পিউটার, মোবাইল, সিমেন্ট ও স্টিল শিল্প। কেননা প্রস্তাবিত বাজেটে এসব খাতে প্রত্যাহার হচ্ছে আগাম কর। কম্পিউটার যন্ত্রাংশ, মোবাইল ফোন, সিমেন্ট ও রডের দামও কমবে।
স্বাধীন বাংলাদেশে ৫০ বছরের যত বাজেট স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে বাংলাদেশে প্রথম বাজেট ঘোষণা করা হয়। ১৯৭২-৭৩ অর্থবছরের জন্য ৭৮৬ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করেন দেশের প্রথম অর্থমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ। ৫০ বছর পরে সেই বাংলাদেশ এখন অনেক দূর এগিয়েছে। বেড়েছে জাতীয় বাজেটের আকার। উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় এবছর প্রথম বাজেটের ৭৬৮ গুণের চেয়েও বড় বাজেট দিতে যাচ্ছে সরকার। ২০২১-২২ অর্থবছরের এ বাজেট জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করবেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এটি হবে আওয়ামী লীগ সরকারের ৩য় মেয়াদের ৩য় বাজেট। অর্থমন্ত্রী হিসেবে মুস্তফা কামালও তৃতীয় বারের মতো বাজেট উপস্থাপন করবেন। বৃহস্পতিবার (৩ জুন) জাতীয় সংসদে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করবেন অর্থমন্ত্রী। তার আগে মন্ত্রিসভার অনুমোদন নেওয়া হবে। বৈশ্বিক দুর্যোগ করোনা মহামারির মধ্যে এবার অর্থমন্ত্রীর বাজেট বক্তব্যের প্রতিপাদ্য- ‘জীবন ও জীবিকার প্রাধান্য, আগামীর বাংলাদেশ’। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশের প্রথম বাজেটের আকার ছিল ৭৮৬ কোটি টাকা। স্বাধীনতার পর ১৯৭২-৭৩ অর্থবছরের ঐ বাজেট দিয়েছিলন প্রয়াত তাজউদ্দীন আহমদ। পরের দুটি বাজেটও দিয়েছিলেন দেশের প্রথম অর্থমন্ত্রী তাজউদ্দীন। ৫০ বছর পর অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে বাংলাদেশের ৫০তম যে বাজেট দেবেন তার আকার ধরা হচ্ছে প্রায় ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা। এ হিসাবে স্বাধীনতার পর প্রথম বাজেটের চেয়ে আসন্ন নতুন বাজেটের আকার দাঁড়াবে ৭৬৮ গুণ বেশি। স্বাধীনতার পর সব বাজেটের আকার ১৯৭২-৭৩ অর্থবছরে তাজউদ্দীন আহমদ ৭৮৬ কোটি টাকা; ১৯৭৩-৭৪ অর্থবছরে তাজউদ্দীন আহমদ ৯৯৫ কোটি টাকা ও ১৯৭৪-৭৫ অর্থবছরে তাজউদ্দীন আহমদ ১০৮৪.৩৭ কোটি টাকার বাজেট দিয়েছিলেন। ১৯৭৫-৭৬ অর্থবছরে ড. আজিজুর রহমান ১ হাজার ৫৪৯.১৯ কোটি টাকা; ১৯৭৬-৭৭ অর্থবছরে জিয়াউর রহমান ১ হাজার ৯৮৯.৮৭ কোটি টাকা; ১৯৭৭-৭৮ অর্থবছরে জিয়াউর রহমান ২ হাজার ১৮৪ কোটি টাকা ও ১৯৭৮-৭৯ অর্থবছরে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ২ হাজার ৪৯৯ কোটি টাকার বাজেট দিয়েছিলেন। ১৯৭৯-৮০ অর্থবছরে ড. এম এন হুদা ৩ হাজার ৩১৭ কোটি টাকা; ১৯৮০-৮১ অর্থবছরে এম সাইফুর রহমান ৪ হাজার ১০৮ কোটি টাকা; ১৯৮১-৮২ অর্থবছরে এম সাইফুর রহমান ৪ হাজার ৬৭৭ কোটি টাকার বাজেট দিয়েছিলেন। ১৯৮২-৮৩ অর্থবছরে আবুল মাল আবদুল মুহিত ৪ হাজার ৭৩৮ কোটি টাকা ও ১৯৮৩-৮৪ অর্থবছরে আবুল মাল আবদুল মুহিত ৫ হাজার ৮৯৬ কোটি টাকার বাজেট দিয়েছিলেন। ১৯৮৪-৮৫ অর্থবছরে এম সাইদুজ্জামান ৬ হাজার ৬৯৯ কোটি টাকা; ১৯৮৫-৮৬ অর্থবছরে এম সাইদুজ্জামান ৭ হাজার ১৩৮ কোটি টাকা; ১৯৮৬-৮৭ অর্থবছরে এম সাইদুজ্জামান ৮ হাজার ৫০৪ কোটি টাকা ও ১৯৮৭-৮৮ অর্থবছরে এম সাইদুজ্জামান ৮৫২৭ কোটি টাকার বাজেট দিয়েছিলেন। ১৯৮৮-৮৯ অর্থবছরে মেজর জেনারেল (অব.) মুনিম ১০ হাজার ৫৬৫ কোটি টাকা; ১৯৮৯-৯০ অর্থবছরে ড. ওয়াহিদুল হক ১২ হাজার ৭০৩ কোটি টাকা ও ১৯৯০-৯১ অর্থবছরে মেজর জেনারেল (অব.) মুনিম ১২ হাজার ৯৬০ কোটি টাকার বাজেট দিয়েছিলেন। ১৯৯১-৯২ অর্থবছরে এম সাইফুর রহমান ১৫ হাজার ৫৮৪ কোটি টাকা; ১৯৯২-৯৩ অর্থবছরে এম সাইফুর রহমান ১৭ হাজার ৬০৭ কোটি টাকা; ১৯৯৩-৯৪ এম সাইফুর রহমান ১৯ হাজার ৫০ কোটি টাকা; ১৯৯৪-৯৫ অর্থবছরে এম সাইফুর রহমান ২০ হাজার ৯৪৮ কোটি টাকা ও ১৯৯৫-৯৬ অর্থবছরে এম সাইফুর রহমান ২৩ হাজার ১৭০ কোটি টাকার বাজেট দিয়েছিলেন। ১৯৯৬-৯৭ অর্থবছরে এসএএমএস কিবরিয়া ২৪ হাজার ৬০৩ কোটি টাকা; ১৯৯৭-৯৮ অর্থবছরে এসএএমএস কিবরিয়া ২৭ হাজার ৭৮৬ কোটি টাকা; ১৯৯৮-৯৯ অর্থবছরে এসএএমএস কিবরিয়া ২৯ হাজার ৫৩৭ কোটি টাকা; ১৯৯৯-০০ অর্থবছরে এসএএমএস কিবরিয়া ৩৪ হাজার ২৫২ কোটি টাকা; ২০০০-০১ এসএএমএস কিবরিয়া ৩৮ হাজার ৫২৪ কোটি টাকা ও ২০০১-০২ অর্থবছরে এসএএমএস কিবরিয়া ৪২ হাজার ৩০৬ কোটি টাকার বাজেট দিয়েছিলেন। ২০০২-০৩ অর্থবছরে এম সাইফুর রহমান ৪৪ হাজার ৮৫৪ কোটি টাকা; ২০০৩-০৪ অর্থবছরে এম সাইফুর রহমান ৫১ হাজার ৯৮০ কোটি টাকা; ২০০৪-০৫ এম সাইফুর রহমান ৫৭ হাজার ২৪৮ কোটি টাকা; ২০০৫-০৬ এম সাইফুর রহমান ৬১ হাজার ৫৮ কোটি টাকা ও ২০০৬-০৭ অর্থবছরে এম সাইফুর রহমান ৬৯৭৪০ কোটি টাকার বাজেট দিয়েছিলেন। ২০০৭-০৮ অর্থবছরে এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম ৯৯ হাজার ৯৬২ কোটি টাকা ও ২০০৮-০৯ অর্থবছরে এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম ৯৯ হাজার ৯৬২ কোটি টাকার বাজেট দিয়েছিলেন। ২০০৯-১০ অর্থবছরে আবুল মাল আবদুল মুহিত ১ লাখ ১৩ হাজার ৮১৫ কোটি টাকা; ২০১০-১১ অর্থবছরে আবুল মাল আবদুল মুহিত ১ লাখ ৩২ হাজার ১৭০ কোটি টাকা; ২০১১-১২ আবুল মাল আবদুল মুহিত ১ লাখ ৬৫ হাজার ০০০ কোটি টাকা; ২০১২-১৩ অর্থবছরে আবুল মাল আবদুল মুহিত ১ লাখ ৯১ হাজার ৭৩৮ কোটি টাকা; ২০১৩-১৪ অর্থবছরে আবুল মাল আবদুল মুহিত ২ লাখ ২২ হাজার ৪৯১ কোটি টাকা; ২০১৪-১৫ অর্থবছরে আবুল মাল আবদুল মুহিত ২ লাখ ৫০ হাজার ৫০৬ কোটি টাকা; ২০১৫-১৬ অর্থবছরে আবুল মাল আবদুল মুহিত ২ লাখ ৯৫ হাজার ১০০ কোটি টাকা; ২০১৬-১৭ অর্থবছরে আবুল মাল আবদুল মুহিত ৩ লাখ ৪০ হাজার ৬০৫ কোটি টাকা; ২০১৭-১৮ অর্থবছরে আবুল মাল আবদুল মুহিত ৪ লাখ ২৭০ কোটি টাকা ও ২০১৮-১৯ অর্থবছরে আবুল মাল আবদুল মুহিত ৪ লাখ ৬৪ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকার বাজেট দিয়েছিলেন। ২০১৯-২০ অর্থবছরে আ হ ম মুস্তফা কামাল ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকা এবং ২০২০-২১ অর্থবছরে আ হ ম মুস্তফা কামাল ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার বাজেট দিয়েছিলেন। আসন্ন ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের আকার হচ্ছে ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা যা মোট জিডিপির ১৭ দশমিক ৪৭ শতাংশ। চলতি সংশোধিত বাজেটের তুলনায় নতুন বাজেটের আকার বাড়ছে ৬৪ হাজার ৬৯৮ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটের আকার ৫ লাখ ৩৮ হাজার ৯৪৩ কোটি টাকা।