হিজলা(বরিশাল) প্রতিনিধিঃ ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্প এর আওতায় বিকল্প কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে, নির্বাচিত সুফলভোগী জেলেদের মাঝে গরু বিতরনে অনিয়ম।জেলেদের তোপের মুখে অবলা দুধের ছোট ছোট বকনা বাছুর বিতরণ বাধ্য হয়ে স্থগিত করতে হলো উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার। দুধের বাছুর হওয়ায় সুবিধাভোগীরা ফিরে যাচ্ছেন গরু না নিয়ে।জেলেরা আক্ষেপ প্রকাশ করে বলেন, এটা আমাদের সাথে প্রতারণা ছাড়া আর কিছুই না। এত ছোট দুধের বাছুর আমরা কিভাবে লালন পালন করব এই ছোট-গরুগুলো মায়ের বুকের দুধ ছাড়া বাঁচানো বড়ই কঠিন। কারণ এরা মায়ের দুধ ছাড়া ঘাস খরকুটা খাবে না তাই এই অনুদান নেওয়ার চেয়ে আমাদের না নেওয়াই ভালো। জামাল হোসেন,কুদ্দুস সিকদার,হারুন হাওলাদার, আলাউদ্দিন মাতুব্বরসহ জেলেরা বলেন, আমাদের বলা হয়েছিল এক একটি গরুর দাম ধরা হয়েছে ২২/২৩ হাজার টাকা এবং বয়স হবে পাঁচ থেকে ছয় মাসের কিন্তু এখন গরু নিতে এসে দেখি সর্বোচ্চ এক থেকে দেড় মাস বয়সের বাচ্চা।
উপজেলা খুদ্র ও মৎস্যজীবি সমিতির সভাপতি আলহাজ্ব এনায়েত হোসেন হাওলাদার বলেন, দুঃখের বিষয় আমাকে মৎস্য অফিস কতৃক কোথা থেকে এবং কিভাবে বাছুরগুলো ক্রয় করা হবে কিছুই জানাননি।আজকে বিতরণ করা হবে বলে জানিয়েছেন।এ ব্যাপারে বাংলাদেশ মৎস্যজীবী সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব ইকবাল মাতুব্বর বলেন, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা কখনও আমাদেরকে ডাকেন না এবং নিজের খামখেয়ালি মত যা ইচ্ছা তাই করছে। ক্ষুদ্র মৎস্যজীবী কমিটিসহ সকলের সমন্বয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা থাকলেও তিনি কখনোই কোন ব্যাপারে আমাদের সহযোগিতা চান না এবং আমাদেরকে কখনো ডাকেন না, এই অনিয়মের ব্যাপারটি তিনি মৎস্য মন্ত্রণালয়ের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের জানাবে বলে আশ্বাস দেন।উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা এম এম পারভেজ বলেন,ঠিকাদার বিকাশ মৎস্য খামারের মাধ্যমে এ বকনা বাছুরগুলো সংগ্রহ করা হয়েছে।
নিয়মঅনুযায়ী সবকিছু ঠিক থাকার পরেও বাছুরগুলো না নিয়ে কেন জেলেরা চলে গেলো তা আমার বুঝে আসছে না।গরু বিতরণ অনুষ্ঠানে কোন জনপ্রতিনিধি উপস্থিত না তাকার কারন ও তিনি জানেন না বলেও জানান।জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ আসাদুজ্জামান বলেন, এক একটি গরুর দাম ধরা হয়েছে ২৫ হাজার টাকা। তিনি আরও বলেন, উপজেলা লাইভস্টোন কর্মকর্তার প্রত্যায়ন নিয়ে বিতরণ করা হবে,যদি কারো কোনো সমস্যা থাকে তাহলে সে গুলো বাদ দিয়ে নতুন করে দেওয়া হবে।