হিজলা (বরিশাল)প্রতিনিধিঃ বরিশালের হিজলায় ধর্ষণ মামলা তুলে নিতে বাদী ও তার পরিবারের সদস্যদের হত্যার হুমকি দেওয়া হচ্ছে।ধর্ষণ মামলার আসামিরা প্রভাবশালী হওয়ায় বাদী ও তার বড় ভাই প্রাণভয়ে এলাকা থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে মামলার বাদীর ভাই হিজলা থানায় মৌখিক ভাবে অভিযোগ করলে হিজলা থানার এস আই মনিরুজ্জামান বিষয়টি দেখবেন কলে আশ্বস্ত করেছেন।ভুক্তভোগী মামলার বাদী সুমাইয়া জানান, বিশকাঠালী গ্রামে বড় ভাই নুরুল আমিনের ঘরে থাকতাম। তখন পাশবর্তী বাড়ির আজিজুল আকনের ছেলে শফিক আকন আমাকে প্রেমের প্রস্তাব দেয় এবং বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আমার সাথে জোরপূর্বক শারিরিক সম্পর্ক করে। এরই ধারাবাহিকতায় গত শনিবার (৫ আগস্ট) রাতে শফিক আমাদের ঘরে ঢুকে ধর্ষণ করাবস্থায় আমার বড় ভাই বাড়িতে আসলে শফিককে ঘরের ভিতর ধরে ফেলে। ডাকচিৎকার শুনে আশপাশের মানুষ আসলে শফিককে ওর মা এসে চড়থাপ্পড় দিয়ে নিয়ে যায়। এব্যাপারে স্থানীয়দের কাছে বিচার দিয়ে বিচার না পেয়ে বরিশাল আদালতে মামলা দায়ের করি। যা হিজলা থানা পুলিশ তদন্ত করছে। তিনি আরো বলেন, শফিকের লোকজন এখন ও আমাদেরকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছে। আমি এলাকা ছেড়ে অন্য জায়গায় আত্মীয়ের বাড়িতে থাকি। আমাকে শফিক নস্ট করেছে আমি এর বিচার না পেলে আত্নহত্যা করব।বাদীর ভাই নুরুল আমিন আমার বোন মামলা করায় আসামীদের আত্নীয়স্বজনরা আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। আমি সেটা থানায় গিয়ে মামলার আয়ু মনিরুজ্জামানকে জানাইছি ব্যপারটা সে দেখবে বলেছে। তিনি আরো বলেন, মামলা করে আমরা ।২ সেপ্টেম্বর শনিবার মামলার আয়ু আমাকে নিয়ে ঘটনাস্থলে গেলে তার সামনেও শফিকের আত্নীয়স্বজনরা আমাকে মারার জন্য এসেছিল। এদিকে শফিকের মা বলেন, মিথ্যা ঘটনা আমার ছেলেকে ফাঁসানো হচ্ছে।আপনার ছেলে কোথায় আছে জানতে চাইলে আপনারা ডিগ্রীর চরের মেম্বার জাহাঙ্গির এর সাথে যোগাযোগ করেন। পাশ্ববর্তী ঘরের মোঃ জয়নাল আবেদীনের স্ত্রী জানায়, রাতে ডাকচিৎকার শুনে ঘুম থেকে উঠে দেখি শফিক ও সুমাইয়কে ঘরের মধ্যে আটকাইয়া রাখছে। পরে শফিকের মা আইসা শফিককে ৩/৪ টা চরথাপ্পর দিয়ে নিয়ে গেছে।
হিজলা থানার এস আই মনিরুজ্জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সেহেতু এটি আদালতের মামলা তদন্ত চলছে মেডিকেল রিপোর্ট পাওয়ার পরেই প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।