সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে
স্থায়ী হলেন ৯ বিচারপতি
এইচ এম জুয়েল :- সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে অতিরিক্ত হিসেবে দুই বছর আগে নিয়োগ পাওয়া ৯ জন বিচারপতিকে স্থায়ীভাবে নিয়োগ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।

তারা হলেন বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হক, বিচারপতি মুহম্মদ মাহবুব-উল ইসলাম, বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিন, বিচারপতি মো. জাকির হোসেন, বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামান, বিচারপতি মো. মাহমুদ হাসান তালুকদার, বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেন, বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার, ও বিচারপতি কাজী জিনাত হক।

সোমবার (১৮ অক্টোবর) রাষ্ট্রপতির আদেশের পর এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে আইন মন্ত্রণালয়।শপথের দিন থেকে তাদের এ নিয়োগ কার্যকর হবে।
এর আগে ২০১৯ সালের ২১ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্ট জাজেস লাউঞ্জে তাদের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে শপথবাক্য পাঠ করিয়েছিলেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন।

সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে প্রাথমিকভাবে দুই বছরের জন্য অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। পরে রাষ্ট্রপতির আদেশে তাদের হাইকোর্টে স্থায়ী বিচারপতি নিয়োগ দেওয়া হয়
নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পাদনা
বাংলাদেশের সংবিধানের ষষ্ঠ অধ্যায়ের ৯৪ ধারায় সুপ্রিম কোর্টের প্রতিষ্ঠা সম্পর্কে আইনি বিধান সংযুক্ত করা হয়েছে এবং তারই ধারাবাহিকতায় ‘বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি’ নিয়োগের প্রক্রিয়া বর্ণনা করা হয়েছে।বাংলাদেশের সংবিধানের ষষ্ঠ অধ্যায়ের ৯৪ ধারার (১) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে যে, ‘বাংলাদেশ “সুপ্রিম কোর্ট” নামে বাংলাদেশের একটি সর্বোচ্চ আদালত থাকিবে এবং আপীল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগ লইয়া তাহা গঠিত হইবে।’ এই ধারার (১) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে যে, “প্রধান বিচারপতি এবং প্রত্যেক বিভাগে আসন গ্রহণের জন্য রাষ্ট্রপতি যেরূপ সংখ্যক বিচারক নিয়োগের প্রয়োজন বোধ করিবেন, সেইরূপ সংখ্যক অন্যান্য বিচারক লইয়া সুপ্রীম কোর্ট গঠিত হইবে”; আরো বলা হয়েছে যে, সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি “বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি” নামে অভিহিত হইবেন। পরবর্তী অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, “প্রধান বিচারপতি ও আপীল বিভাগে নিযুক্ত বিচারকগণ কেবল উক্ত বিভাগে এবং অন্যান্য বিচারক কেবল হাইকোর্ট বিভাগে আসন গ্রহণ করিবেন।”; এবং চতুর্থ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে যে, “সংবিধানের বিধানাবলী-সাপেক্ষে প্রধান বিচারপতি এবং অন্যান্য বিচারক বিচারকার্য পালনের ক্ষেত্রে স্বাধীন থাকিবেন।
সংবিধানের ৯৫ ধারায় বিচারপতি পদে নিয়োগের যোগ্যতা বর্ণিত আছে, কোন ব্যক্তি বাংলাদেশের নাগরিক না হলে এবং সুপ্রীম কোর্টে অন্যূন দশ বৎসরকাল এ্যাডভোকেট না থেকে থাকলে, অথবা বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় সীমানার মধ্যে অন্যূন দশ বৎসর কোন বিচার বিভাগীয় পদে অধিষ্ঠান না করে থাকলে, অথবা সুপ্রীমকোর্টের বিচারক পদে নিয়োগলাভের জন্য আইনের দ্বারা নির্ধারিত যোগ্যতা না থাকলে তিনি সুপ্রিম কোর্টের বিচারকপদে নিয়োগ লাভের যোগ্য হবেন না।সংবিধানের ৯৪ অনুচ্ছেদের বিধানাবলী সত্ত্বেও রাষ্ট্রপতির নিকট সুপ্রীম কোর্টের কোন বিভাগের বিচারকসংখ্যা সাময়িকভাবে বৃদ্ধি করা উচিত মর্মে সন্তোষজনকভাবে প্রতীয়মান হলে তিনি যথাযথ যোগ্যতাসম্পন্ন এক বা একাধিক ব্যক্তিকে অনধিক দুই বৎসরের জন্য সুপ্রিম কোর্টের অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে নিযুক্ত করতে পারবেন। কিংবা তিনি উপযুক্ত বিবেচনা করলে হাইকোর্ট বিভাগের কোন বিচারককে যে কোন অস্থায়ী মেয়াদের জন্য আপীল বিভাগের আসন গ্রহণের ব্যবস্থা করিতে পারিবেন। তবে শর্ত আছে যে, অতিরিক্ত বিচারকরূপে নিযুক্ত (কোন ব্যক্তিকে বাংলাদেশ সংবিধানের ৯৫ অনুচ্ছেদের অধীন বিচারকরূপে নিযুক্ত) হতে, কিংবা ৯৮ অনুচ্ছেদের অধীন আরও এক মেয়াদের জন্য অতিরিক্ত বিচারকরূপে নিযুক্ত হতে এই অনুচ্ছেদের কোন কিছুই নিবৃত্ত করবে।