হঠাৎ লকডাউন ”ঢাকা ঘেরাও” ইউপি নির্বাচনে বাড়িতে থাকা ঢাকায় ফেরা মানুষের ভোগান্তি ।
এইচ এম জুয়েল:- হঠাৎ করোনাভাইরাস এর প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় করোনার বিস্তার ঠেকাতে ঢাকাকে ঘেরাও করে রাখা হয়েছে, রাজধানী ঢাকাকে সুরক্ষিত রাখতে আশপাশের ৭ জেলায় লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার। সকাল থেকেই এ সকল জেলায় লকডাউন শুরু হয়েছে। তবে হঠাৎ লকডাউন ঘোষণায় বিপাকে পড়েছেন গ্রামীণ লোক ঢাকায় বসবাসকারী চাকরিজীবী দক্ষিণাঞ্চলের নির্বাচন উপলক্ষে বাড়ি থাকা লক্ষ লক্ষ মানুষ ।
গতকাল (২১ জুন) প্রথম ধাপে ২০৪ ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন এরমধ্যে উপকূলীয় বিভাগ বরিশালে ১৭৩ ইউনিয়নে নির্বাচন হয়েছে। উক্ত নির্বাচনের ঢাকা থেকে লক্ষ লক্ষ মানুষ নিজ গ্রামে পছন্দনীয় মনোনীত প্রার্থীদের ভোট দিতে আসেন। কিন্তু হঠাৎ করে করোন বিস্তার বেড়ে যাওয়ায় সরকার রাজধানী ঢাকাকে সুরক্ষিত রাখতে ঢাকার প্রবেশমুখ জেলাগুলোতে কঠোর লকডাউন ঘোষণা করলে নির্বাচন শেষে গ্রাম থেকে ঢাকায় যাওয়ার মানুষগুলো চরম বিপাকে পড়েন, অফিস থেকে ২/১ দিনের ছুটি আনলেও লকডাউন এর কারণে ঢাকাগামী মানুষগুলো দুশ্চিন্তায় নির্বাচনী বিজয়ের আনন্দ স্নান হয়ে গেছে। কিভাবে ঢাকা যাবে সেই পথ খুঁজে পাচ্ছে না।
গণপরিবহনকে রাজধানী শহর ঢাকাতে প্রবেশ করতে দিচ্ছে না আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। সরকারঘোষিত বিধিনিষেধের আওতায় থাকা সাত জেলা হলো মানিকগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, গাজীপুর, মাদারীপুর, রাজবাড়ী ও গোপালগঞ্জ। এসব জেলায় ঢাকা থেকে দূরপাল্লার বাস চলবে না। দূরের যাত্রার ট্রেন চললেও এই সাত জেলায় থামবে না। ঢাকা থেকে যাত্রীবাহী নৌযানও চলবে না। এর ফলে রাজধানী ঢাকার সাথে ৯ দিন যোগাযোগবিচ্ছিন্ন থাকবে।
গত রাত ১১টা ২১ মিনিটে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সংশোধিত বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ঢাকার সঙ্গে সারা দেশের যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল বন্ধ থাকবে। করোনার সংক্রমণ বাড়ায় আজ মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত যাত্রীবাহী নৌযান বন্ধ থাকবে বলে জানানো হয়।
সোমবার (২১ জুন) বিকেলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের জরুরি ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, মঙ্গলবার থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত মানিকগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, রাজবাড়ী, মাদারীপুর ও গোপালগঞ্জে বিধিনিষেধ (লকডাউন) আরোপ করা হয়েছে। সচিব জানান, লকডাউন চলাকালে সার্বিক কার্যাবলি চলাচল (জনসাধারণের চলাচলসহ) সকাল ৬টা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। এ সময় শুধু আইন-শৃঙ্খলা এবং জরুরি পরিষেবা, যেমন-কৃষি উপকরণ (সার, বীজ, কীটনাশক, কৃষি যন্ত্রপাতি ইত্যাদি), খাদ্যশস্য ও খাদ্যদ্রব্য পরিবহন, ত্রাণ বিতরণ, স্বাস্থ্যসেবা, কোভিড-১৯ টিকা প্রদান, বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস/জ্বালানি, ফায়ার সার্ভিস, বন্দরসমূহের (নদীবন্দর) কার্যক্রম, টেলিফোন ও ইন্টারনেট (সরকারি-বেসরকারি), গণমাধ্যম (প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া), বেসরকারি নিরাপত্তা ব্যবস্থা, ডাক সেবাসহ অন্যান্য জরুরি ও অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ও সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অফিস, তাদের কর্মচারী ও যানবাহন এবং পণ্যবাহী ট্রাক/লরি এ নিষেধাজ্ঞার আওতাবহির্ভূত থাকবে।