সেই কিশোরী বধু কে নিয়ে ঘর বাধা হলো না “চেয়ারম্যানের” অতৃপ্ত রয়ে গেল!
এইচ এম জুয়েল:- সেই কিশোরী বধু কে নিয়ে ঘর বাধা হলো না “চেয়ারম্যানের” অতৃপ্ত রয়ে গেল।
পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায় আলোচিত বিয়ের, সেই কিশোরী বধু (১৪) তালাক দিয়েছেন চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদারকে (৬০)। বিয়ে পড়ানো সেই কাজীর মাধ্যমে পরের দিন চেয়ারম্যানকে তালাক দিয়ে, একদিন পর প্রেমিক শাহিন হাওলাদারের সাথে বিয়ে বসলেন নসিমন বিবি।
কিশোরী ও তাঁর বাবা মুঠোফোনে সাংবাদিকদের এ কথা জানিয়েছেন। চেয়ারম্যান নিজেও এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
ওই কিশোরী (বধু) ‘চেয়ারম্যানের কাছে গিয়েছিলাম পছন্দের ব্যক্তি শাহীনকে বিয়ে করতে। কিন্তু বিয়ে করতে হয়েছে চেয়ারম্যানকে। আমি শাহীনকে ভালোবাসি সারা জীবন ওর সাথে থাকতে চাই।
আমি এক রাত চেয়ারম্যানের বাসায় থাকলেও কোনোভাবেই তাঁকে আমি স্বামী হিসেবে মেনে নিতে পারিনি। চেয়ারম্যান তা বুঝতে পেরে তালাক দেওয়ার ব্যবস্থা করেন।
স্থানীয় কাজি মো. আবু সাদেক বিয়ে পড়ানোর কথা স্বীকার করে বলেন, ‘মেয়েটির জন্মনিবন্ধন দেখে তিনি বিয়ে পড়িয়েছেন।’ উল্লেখ করা হয়েছে ২০০৩ সালের ১১ এপ্রিল।
কিন্তু বিদ্যালয়ে দেওয়া জন্মনিবন্ধন ও পঞ্চম শ্রেণি পাসের সনদ অনুযায়ী, ওই ছাত্রীটির জন্মতারিখ ২০০৭ সালের ১১ এপ্রিল সে অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী ছিল। বিয়ের পর মেয়েটিকে নিজের বাড়িতে নিয়ে যান চেয়ারম্যান। তবে বাড়িতে তাঁর প্রথম স্ত্রী ও পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন না।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাকির হোসেন বলেন, একজন জনপ্রতিনিধি (চেয়ারম্যান) এর পক্ষে এরকম নেককার ঘটনা দুঃখজনক।