গলাচিপা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি:-
পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার চরমোন্তাজ ইউনিয়নের এক সময় আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রার্থীর বিরুদ্ধে গিয়ে নির্বাচন করা প্রার্থী নাজমুল হুদা কি করে এখন আওয়ামীলীগের পদ পদবী চায় তানিয়ে এলাকার মানুষের মনে হাজারো ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান ২০১৬ সালের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে রাঙ্গাবালী উপজেলার চরমোন্তাজ ইউনিয়নের জননেত্রী শেখ হাসিনার মনোনীত নৌকার মাঝি হয়ে আসেন জনতা হানিফ মিয়া নির্বাচন করেন।
চরমোন্তাজ আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক চেয়ারম্যান হানিফ মিয়া বলেন, নাজমুল হুদা আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার বিপক্ষে গিয়ে নির্বাচন করেন। নাজমুল হুদা আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে হামলা চালায় এতে করে আমার গাড়ি চালক সুমন গুরুতর আহত হয় এবং আমি প্রানে বেঁচে যাই। নাজমুল হুদা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগদের রাতের আধারে ঘরে আগুন লাগিয়ে নিজের ঘরেও আগুন লাগিয়ে তাদের নামে মিথ্যা মামলায় অভিযুক্ত করেন। বিভিন্ন সময় এলাকায় বিভিন্ন ভাবে অত্যাচার করে হামলা ও মামলা দিয়ে হয়রানি করেন ওই নাজমুল হুদা।
চরমোন্তাজ ইউনিয়ন মহিলা আ. লীগের সভানেত্রী মোসাম্মৎ তাসলিমা বেগম বলেন, নাজমুল হুদার একটা সন্ত্রাসী বাহিনী আছে তা পরিচালনা করেন এলাকার কুখ্যাত সন্ত্রাসী ওয়াহিদ খান (রাজ)। এই সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনার কারনে ওহিদুল থেকে আজ তার নাম ওয়াহিদ খান (রাজ)। এই রাজ বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জনের কাছে সরকার দলিও কেন্দ্রীয় নেতাদের নাম বিক্রি করে এলাকায় সন্ত্রাসী ও ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেন।
চরমোন্তাজ ইউনিয়নের কৃষক মোঃ শামসুল বলেন, নাজমুল হুদার হয়ে ওই ওয়াহিদ খান (রাজ) বিভিন্ন খাল, বিল, ঘের, স্লুইস দখল করে রাখে এছাড়াও সোনার চর এলাকায় জেলেদের কাছ থেকে বছরে লাখ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করে থাকে এবং সর্বনাশা মরন নেশা মাদক ব্যাবসায়ী সিন্ডিকেট পরিচালনা করে ওই ওয়াহিদ খান (রাজ) এবং গডফাদার নাজমুল হুদা।নাম না করার শর্তে অনেক অভিযোগ করে বলেন,
নাজমুল ও রাজের অত্যাচারে অতিষ্ট চরমোন্তাজ ইউনিয়নের সর্বসাধারণ। তাই এলাকার জনগনের একটাই প্রশ্ন এই নাজমুল হুদা কি করে আওয়ামীলীগের পদ চায়? এর জন্য ক্ষোভ প্রকাশ করেন চরমোন্তাজ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ ও সাধারণ জনগন। তাই তাদের দাবী নেত্রীর কাছে এই সন্ত্রাসী নাজমুলের থেকে পরিত্রাণ চায়।
এব্যাপারে নাজমুল হুদা বলেন, আমি নৌকা না পেয়ে জনসাধারণের অনুরোধে ইউপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করি।