এইচ এম জুয়েল:- পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় নুশরাত জাহান মিম নামে অষ্টম শ্রেণী পড়ুয়া এক মাদ্রাসা ছাত্রী নিজের বাল্যবিয়ে বন্ধ করে থানায় হাজির হওয়ায় সাহসী কন্যার সম্মাননা পেয়েছেন।
বুধবার (২২ ডিসেম্বর) উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এমন সাহসী ভূমিকার জন্য বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা পাওয়া ঐ কিশোরীকে সাহসী সম্মাননা স্মারক ও শিক্ষা সহায়তার জন্য নগদ ১০ হাজার টাকা প্রদান করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. বশীর আহম্মেদ, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. শাখাওয়াত জামিল সৈকত, থানার অফিসার ইনচার্জ মুহা. নুরুল ইসলাম বাদল, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা রূপ কুমার পাল ও স্থানীয় সাংবাদিকরা ঐ কিশোরীকে অভিবাদন জানান। এসময় নুশরাতের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সম্মাননা পেয়ে মাদ্রাসা ছাত্রী নুশরাত জাহান বলেন, সহপাঠীদের অনেকের বাল্যবিয়ে হয়ে যাওয়ার পর পারিবারিক জীবনে কেউ ভালো নেই। আমি পড়াশোনা করে প্রতিষ্ঠিত হয়ে বিয়ে করতে চাই।
মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ নূরুল ইসলাম বাদল বলেন, নিজের বাল্যবিবাহ বন্ধ করতে থানায় হাজির হয়ে ওই কিশোরী সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বশীর আহম্মেদ জানান, সাহসী ওই মাদ্রাসা ছাত্রীর লেখাপড়া সার্বিক সহায়তার পাশাপাশি তার জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করা হবে।
উল্লেখ্য : গত ১৩ ডিসেম্বর সোমবার দিনগত রাতে উপজেলার মিরুখালী অহেদাবাদ নূর-আলা নূর ইসলামীয়া দাখিল মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী নুশরাত জাহানের মা সম্প্রতি জর্ডান থেকে দেশে ফিরে এসে ওই ছাত্রীকে না জানিয়ে বিয়ে ঠিক করেন।
ঘটনার দিন বিকেলে পার্শ্ববর্তী উপজেলার হরিণপালা গ্রাম থেকে মা-বাবার পছন্দ অনুযায়ী ছেলে পক্ষ দেখতে এসে আংটি পরিয়ে দেয়। ঐদিন রাতে মাদ্রাসা ছাত্রী নুশরাত জাহান মিম মা-বাবাকে না জানিয়ে থানায় হাজির হয়ে পুলিশের সহায়তা চায়। পরে পুলিশ ও মহিলা বিষয় কর্মকর্তা রূপ কুমার পাল ওই ছাত্রীর মা-বাবাকে ডেকে এনে পূর্ণ বয়স না হওয়া পর্যন্ত মেয়েকে বিয়ে দেবেন না বলে মুসলেকা গ্রহণ করে বাল্য বিয়ে বন্ধ করে দেন।