তৃণমূল প্রতিনিধিঃ পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ায় মায়ে মৃতদেহ বাড়িতে রেখে এইচএসসি পরিক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে সুরঞ্জিত দেউরি।
বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) এইচএসসি পরীক্ষার ইংরেজী প্রথম পত্র পরিক্ষায় ভান্ডারিয়া সরকারি কলেজের পরীক্ষা কেন্দ্রে এ হৃদয় বিদারক ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় পরীক্ষাকেন্দ্রে শোকের ছায়া নেমে আসে।
সুরঞ্জিত দেউরি উপজেলার ২নং নদমূলা শিয়ালকাঠী ইউনিয়নের ২নং ওয়র্ডের শিক্ষক মৃত রঞ্জিত দেউরির ছেলে। তিনি আমানউল্লাহ মহাবিদ্যালয়ের বানিজ্য বিভাগের মেধাবী শিক্ষার্থী।
সুরঞ্জিত দেউরি মেষ দিলিপ জানান, ও তাদের এক মাত্র ছেলে। গত ১৩ এপ্রিল ওর বাবা মারা যান। এখন সুরঞ্জিতের মা‘ও মারা গেলেন। ছেলেটা বড় দুখী। ওর মা দিপুরানী থাইরয়েড রোগে আক্রান্ত ছিল। দুইদিন পূর্বে ডারিয়ায় আক্রান্ত হলে তাবে বরিশাল শেরই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। বুধবার দিনগত রাতে ১টা ৪০ মিনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। ভোর রাতে মৃতদেহ বাড়িতে নিয়ে আসা হয়েছে।
সুরঞ্জিত দেউরি “তৃণমূল সংবাদকে” বলেন মায়ের মৃত্যুর খবর শুনে আমি খুব ভেঙে পড়েছিলাম পরীক্ষা না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি কিন্তু আত্মীয় স্বজন ও শিক্ষকদের অনুরোধে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করি পরীক্ষা হলের ভিতর ভেঙ্গে পড়েছিলাম ভালো মনোযোগি হতে পারিনি। আবার বাড়িতে এসে মায়ের সৎকার করতে হয়েছে। কিছুদিন আগে বাবাকে হারিয়েছি এখন মাকে হারিয়ে কিভাবে বেচে থাকব বুঝে উঠতে পারছিনা
***এবিষয়ে আমানউল্লাহ মহাবিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যপক মো: নুরুজ্জামান হাওলাদার বলেন আমরা ওকে সাথে করে পরিক্ষা হলে নিয়ে আসি মনোবল ঠিক রাখার জন্য চেষ্টা করেছি।
***উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ জহিরুল ইসলাম জানান, ঘটনাটি আসলেই দুঃখ জনক। আমরা যথাসম্ভব ওর প্রতি নজর রেখেছি যাতে সে পরীক্ষা ভালো ভাবে শেষ পর্যন্ত চালিয়ে যেতে পারে। **এই মৃত্যুর খবরে আত্মীয়-স্বজন ও সহপাঠীদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে।
উল্লেখ্য, ভান্ডারিয়া গত ৬ নভেম্বর পরীক্ষা শুরুর দিনে মায়ের মৃতদেহ বাড়িতে রেখে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন উত্তর পৈকখালী গ্রামের মেয়ে শারমিন আক্তার নামে এক পরীক্ষার্থী।