তৃণমূল প্রতিনিধিঃ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ৪৭তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে (১৩ আগস্ট) শনিবার ভান্ডারিয়া বাস স্ট্যান্ড কালিমা চত্বরে, বাংলাদেশ আ’মী যুবলীগ ভান্ডারিয়া শাখার উদ্যোগে আলোচনা সভা ও দোয়া মিলাদ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত বক্তব্য করেন পিরোজপুর জেলা পরিষদের প্রশাসক ও জেলা আ’মীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মহিউদ্দিন মহারাজ। তিনি বক্তবে বলেন, বঙ্গবন্ধু ১৯৭১ সালে সকলকে সংগঠিত করে যুদ্ধে ঝাপিয়ে পরে দেশকে স্বাধীন করে ছিল এবং বাংলাদেশ নামক একটি স্বাধীন রাষ্ট্র তিনি উপহার দিয়েছিলেন। দেশ স্বাধীনতার পরে দেশের ভেতরের ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রকারীরা দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য একের পর এক ষড়যন্ত্র চালিয়ে যায়। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট রাতের অন্ধকারে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর সপরিবার কে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। দীর্ঘ দিন ধরে আওয়ামীলীগ “সরকার ক্ষমতায় ছিলেন না। বিভিন্ন সরকার এসেছেন, জিয়াউর রহমানের ও এরশাদ রাষ্ট্রীয় দায়িত্বে ছিলেন কেউ বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচারের দায়িত্ব হাতে নেননি।
১৯৯৬ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় এসে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচারের পদক্ষেপ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গ্রহন করেন। তারই ধারবাহিকতায় দেশের ভিতরে বঙ্গবন্ধুর যে খুনিরা ছিল তাদের বিচার সম্পন্ন করা হয়েছে। এখনও যারা বিদেশে পালিয়ে আছে তাদের দেশে ফিরিয়ে এনে বিচার সম্পন্ন করা আহব্বন জানান তিনি।
আওয়ামী যুবলীগের ভান্ডারিয়া শাখার সভাপতি তালুকদার এনামুল কবির টিপুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এহসাম হাওলাদারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও জাতীয় পার্টি জেপি’র যুগ্ম আহবায়ক মশিউর রহমান মৃধা, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ফাইজুর রশিদ খসরু, সহ সভাপতি লিয়াকত আলী তালুকদার, জাতীয় পার্টি জেপি’র সদস্য সচিব ধাওয়া ইউপি চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান টুলু, গৌরীপুর ইউপি চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান চৌধুরী, জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য নিজামুল হক নান্না, জেপি নেতা ইউসুব আলী আকন, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রশিদ মৃধা, যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক চপল হাওলাদার, ছাত্রলীগের আহ্বায় রিসান সিকদার ও আওয়ামী লীগের অংক সংগঠনের নেতাকর্মীরা সহ যুবল লীগ, যুব মহিলা লীগ, ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ।
পরে ১৫ আগস্ট নিহতের রুহের মাগফিরত কামনা করে দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা রফিকুল ইসলাম