তৃণমূল প্রতিনিধিঃ পিরোজপুর ভান্ডারিয়া উপজেলার গৌরীপুর ইউনিয়নের চরাইল দারুস সুন্নাহ খানকায়ে নেছারীয়া দীনিয়া কমপ্লেক্সেটি আকস্মিক ঘূর্ণিঝড়ে বিধ্বস্ত হয় শিক্ষার্থীদের নিয়ে এখন পাঠদান হচ্ছে খোলা আকাশের নিচে।
সরেজমিন পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায় গত ২৭ মে শুক্রবার দুপুরে আকস্মিক ঘূর্ণিঝড়ের উক্ত মাদ্রাসার ঘরটি সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হওয়ার ফলে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের নিয়ে রোদ বৃষ্টি উপেক্ষা করে খোলা আকাশের নিচে পাঠদান চলছে।
প্রতিষ্ঠানের পরিচালক মাওলানা এনাম হোসেন জানান। কয়েক বছর আগে আমার পিতা মাওলানা তাজুল ইসলাম (সাবেক অধ্যক্ষ আব্দুল আলিম সিনিয়র মাদ্রাসার) তিনি উদ্যোগ নিয়ে জমি দান করে মাদ্রাসা তৈরীর করেন। এলাকার এতিম ও অসহায় দরিদ্র শিক্ষার্থীদের নিয়ে হেফজখানা ও দীনিয়া নূরানী বিভাগ সুনামের সহিত ধর্মীয় ও আধুনিক শিক্ষার সমন্বয়ে গঠিত মাদ্রাসার পরিচালন হয়ে আসছে। কিন্তু কয়েক মিনিটের ঘূর্ণিঝড়ে প্রায় দেড়শত ফুট লম্বা টিনশেড ধর্মশিক্ষার বাতিঘরটি দুমড়ে-মুচড়ে মাটিতে লুটাইয়া পড়ে। এখন ৩৫০জন শিক্ষার্থী ইসলামের পাখি গুলির লেখাপড়া অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। ক্লাস ঘর না থাকায় শিক্ষকরা কোনমতে খোলা আকাশের নিচে চটে বসিয়ে পাঠদান দিয়ে যাচ্ছে। সামনে বর্ষার সিজন কি যে হবে এই চিন্তায় আছি।
সরকার অথবা কোন দানশীল ব্যক্তিরা একটা ভবনের উদ্যোগ নিলে শিক্ষার্থীরা আবারও সেই মনোরম পরিবেশে পাঠদানে ফিরে যেতে পারতে। এ ব্যাপারে সকলের সহযোগিতা কামনা করছেন।