এইচ এম জুয়েল:- পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলা নদমুল্লা ৯ নং ওয়ার্ডের হেতালিয়া গ্রামে শুক্রবার (২৪ সেপ্টেম্বর ) সকাল ৯ ঘটিকায় নিজ ঘর থেকে সপ্তম শ্রেণীর এক কিশোরী শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেন প্রতিবেশীরা।
জানা যায় আঃ রহমানের সেজো মেয়ে স্থানীয় হেতালিয়া নেছার উদ্দিন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী মোসাঃ ফারজানা আক্তার (১৩) মঠবাড়িয়ার আব্দুর রহিম নামে এক ছেলের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে যান।
স্কুল সংলগ্ন বাড়ির পাশে পেচ ঢালাই রাস্তায় সাব-কন্ট্রাক্টর দুলাভাই কালামের সাথে শ্যালক রহিম কাজ করতে আসলে উক্ত ফারজানা সাথে প্রেমের সম্পর্কে গড়ে ওঠে এবং তাদের মধ্যে দীর্ঘদিন প্রেমের সম্পর্ক চলমান থাকায় উভয়ের পরিবারের মধ্যে প্রেম সংক্রান্ত নিয়ে জটিলতার সৃষ্টি হয়। মাঝে মাঝে মেয়ের মেজ বোনের কাছে তাদের প্রেম কে মেনে নেয়ার জন্য মোবাইল ফোনে প্রেমিক রহিম একাধিকবার অনুরোধ করেন এবং আত্মহত্যার হুমকি দেন। ইতিমধ্যে প্রেমিক রহিম একটি দুর্ঘটনায় হসপিটালে ভর্তি আছে, সেই খবর ছোট বোনকে জানালে, আবেগি কিশোরী ফারজানা ক্ষোভ ও কষ্ট সহ্য করতে না পেরে প্রতিদিনের মতো সকালবেলা বাড়ির পাশে আরবি পড়ে বাড়ি ফিরে খাওয়া-দাওয়া শেষে “মা”পাশের বাড়িতে থাকার সুযোগে তার চোখ কে ফাঁকি দিয়ে নিজ ঘরের আড়ার সাথে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করার সময় ঝুলন্ত অবস্থায় ছটফট করতে দেখে তৃতীয় শ্রেণীতে পড়া ছোট ভাই চিৎকার করলে পাশের ঘরের লোকজন দ্রুত গলার ফাঁস খুলে উদ্ধার করে তাকে ভান্ডারিয়া হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাক্তার আলী-আজিম প্রাথমিক পরীক্ষা শেষে মৃত ঘোষণা করেন।
এলাকার প্রত্যক্ষদর্শী ও ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলামের বলেন এটা প্রেম সংক্রান্ত ঘটনা, কারণ মেয়েটির হাতে মেহেদি দিয়ে লাভ প্রতীক আঁকা ছিল। এবং ঐ ছাত্রীর ঘরে নাকি একাধিক প্রেমিক ছেলেটির চিঠি পাওয়া গেছে। মেয়েটি একটি ডাইরিতে লিখে গেছে “তোমার জন্য চলে গেলাম মাফ করে দিও”
এদিকে পরিবার, শিক্ষক, সহপাঠী ও এলাকাবাসী মাঝে এক শোকের ছায়া নেমে আসছে। অকালে চলে যাবে তারা ভাবতেও পারেনি।
ভান্ডারিয়া থানার S.i আশিকুল ইসলাম জানান এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হলো। তদন্ত অব্যাহত আছে।