নিজস্ব প্রতিনিধি:- যশোরের চৌগাছা সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে আটক ভারতীয় তরুণীকে ফেরত পাঠিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। শুক্রবার (২৭ আগস্ট) বিকেলে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে প্রিয়া কর্মকার (১৯) নামে ওই তরুণীকে ফেরত পাঠানো হলেও। এ ঘটনায় বাংলাদেশী প্রেমিক সহ সাত তরুণদের আটক করে চৌগাছা থানায় মাধ্যমে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
বিজিবি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, গত বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে চৌগাছা সীমান্তের হিজলী বিওপির টহলদল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভারতীয় নাগরিকসহ পাচারকারী দলের সদস্যকে আটক করে। ভারতীয় নাগরিক প্রিয়া কর্মকার (১৯) উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বনগাঁও থানার টেংরাইল গ্রামের বাসিন্দা।
পরবর্তীতে গতকাল শুক্রবার বিকেলে অবৈধভাবে আগমনকারী ভারতীয় নাগরিককে কোম্পানী কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ১০৭ বিএসএফের উত্তর বয়রা কোম্পানী সদরের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। একইসঙ্গে অবৈধ অনুপ্রবেশের সহায়তাকারী বাংলাদেশি নাগরিকদের চৌগাছা থানায় হস্তান্তর করা পর আজ কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে।
জানা যায় প্রিয়া সরকার ভারতের টেংরাইল গ্রামের বাসিন্দা। তারা এক ভাই এক বোন। ভাই ভারতীয় সেনা সদস্য। আত্মীয়তার সূত্রে বাংলাদেশের শার্শা উপজেলার সৌরভ সরকার ও প্রিয়া সরকারের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সম্পর্কের সূত্র ধরে প্রিয়া গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে বাংলাদেশের সীমানায় চলে আসেন।
প্রেমিক সৌরভ সরকারের চাচাতো ভাই অরবিন্দ বলেন, ‘ভারতের টেংরাইল গ্রামে সৌরভের আত্মীয় রয়েছে। সেখানে যাতায়াতের মাধ্যমে প্রিয়ার সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক হয়। এর পরে ফোনে কথা চলে তাদর। হঠাৎই কাউকে কিছু না জানিয়ে মেয়েটি বাংলাদেশে এসে সৌরভের কাছে ফোন দেয় এবং বলে তাকে না নিয়ে গেলে সে এখানেই আত্মহত্যা করবে। সে কারণেই আমার ভাই এখানে এসেছিল।’ তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘সীমান্ত এলাকায় আসলেই তো আর কেউ অবৈধ হয় না। ভারতীয় মেয়েটাকে ফেরত দেওয়া হলো। কিন্তু আমার ভাইকে জেলখানায় যেতে হলো এ কেমন বিচার?’
ফেরত পাঠানো প্রিয়া সরকার বলেন, ‘আমি আমার বাবার কাছে অনুমতি নিয়েই এসেছি। আমি বিএ দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। আমার ভালো-মন্দ বুঝার শক্তি হয়েছে। আমি সৌরভ কে ভালবাসি ভালোবাসাটা অপরাধ নয় আমাকে ফেরত দিলে আমি আত্মহত্যা করব। আপনারা আমার উপর অবিচার করবেন না।
এ বিষয়ে চৌগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম সবুজ সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিজিবির করা পাসপোর্ট আইনের মামলায় বাংলাদেশের সাত তরুণকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এখন বিজ্ঞ আদালত সিদ্ধান্ত নিবে।