নিজস্ব প্রতিনিধি:- পরীমনির ডান হাতের তালুতে মেহেদি দিয়ে লেখা ছিল ‘ডোন্ট লাভ মি বিচ’। লেখার নিচে এমন একটা প্রতীক, শোভন বাংলায় যার অর্থ ‘গোল্লায় যাও’। এই সব কথা ও প্রতীক দিয়ে আসলে কী বলতে চাইছেন পরীমনি?
সবার মনের কোণে জমে থাকা সেই প্রশ্নের উত্তর দিলেন পরীমনি। জানালেন, এটা তিনি ‘বিচ’দের উদ্দেশ্যেই বলেছেন। পরীমনি বললেন, ‘যারা বিচ তাঁদের উদ্দেশ্যে এমন কথা বলেছি। আমাকে আটক, গ্রেপ্তার এবং কারাগারের নিয়ে যাওয়ার পর তাদের জীবন সার্থক মনে হয়েছে। যারা বিচ তাঁদের উদ্দেশ্যে এমন কথা বলেছি।’
কেউ কেউ তো খুশিতে নাচিও শুরু করেছে। যেই আমি ফিরে আসছি, অনেকে আবার মিস ইউ, লাভ ইউ বলা শুরু করছে। এই ধরনের ভালোবাসা আমার দরকার নাই। আমার ভক্তদের জন্য আমি আজীবন পরিমনির ভালোবাসা তাদের জন্য।
বুধবার সকাল সাড়ে নয়টার কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মাদক মামলায় ২৭দিন জেল খেটে হুড খোলা গাড়িতে নায়িকার মতোই বের হয়ে আসেন পরীমনি। ভক্তদের উদ্দেশে হাত নেড়ে শুভেচ্ছা জানান এই অভিনেত্রী।
পরীমনির মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে হাই কোর্টে তলব
পরীমনির বিরুদ্ধে বনানী থানার মাদক মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডি পুলিশের পরিদর্শক কাজী গোলাম মোস্তফাকে আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর মামলার নথিসহ (কেস ডকেট) আদালতে হাজির হয়ে রিমান্ডে নেওয়ার অবস্থা সম্পর্কে বলা হয়েছে।
এছাড়া ঢাকার মহানগর হাকিম মামুনুর রশিদ ও আতিকুল ইসলাম কী কী তথ্য-উপাত্তের ওপর ভিত্তি করে পরীমনিকে দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফার রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন, আগামী ১০ দিনের মধ্যে তার ব্যাখ্যা দিতে বলেছে হাই কোর্ট।
আদালত আদেশে বলেছে, তাদের ব্যাখ্যা সন্তোষজনক না হলে এ দুই হাকিমকে তলব করা হতে পারে।
জামিন সংক্রান্ত রুল ও রিমান্ডের বৈধতা প্রশ্নে স্বতঃপ্রণোদিত রুল জারির এক আবেদনের শুনানিতে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের ভার্চুয়াল হাই কোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেয়।
এদিকে বনানীর ভাড়ার বাড়িটি ছাড়ার জন্য নোটিশ দিয়েছেন বাড়ি এলি, পরি মনি বলেন এক বিপদ থেকে মুক্ত হয়ে আসার আগেই আরেক বিপদের সম্মুখীন হলাম, বাড়িওয়ালির অভিযোগ প্রশাসন ও গণমাধ্যমকর্মীসহ বিভিন্ন রকম মানুষের বাড়িতে আনাগোনা কারণে অন্য ভাড়াটিয়াদের অসুবিধা হচ্ছে।