নিজস্ব প্রতিনিধি:– বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি এ.কে.এম. জহিরুল হক সরকারি সিডিউল মোতাবেক সপরিবারে বাগেরহাটের শরণখোলায় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা প্রাতঃ মনিরুজ্জামান বাদলের কবর জিয়ারতের পর জেলার দর্শনীয় স্থান পরিদর্শন করতে গিয়ে (২৫ ডিসেম্বার)
সন্ধ্যারাতে বাগেরহাট সার্কিট হাউসে “রাষ্ট্রীয় মর্যাদা গার্ড অব অনার এ শেষে” স্থানীয় বিচারক, প্রশাসন ও আইনজীবীরা প্রথমে ফুল দিয়ে বরণ করে তার সাথে এক সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হন।
এসময় বিচারপতি এ. কে, এম. জহিরুল হক।স্থানীয় বিচারক ও প্রশাসনের সাথে মতবিনিময় কালে কোর্টের বিভিন্ন মামলার জট ও আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতির উপর বিভিন্ন দিগ নিয়ে আলোচনা ও পরামর্শ করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বাগেরহাটের ডিস্ট্রিক্ট জজ মোঃ রবিউল ইসলাম, পুলিশ সুপার কে এম আরিফুল হক পিপিএম, চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট স্বপন কুমার সরকার, অতিরিক্ত বিচারক মোঃ আসাদুল্লাহ রহমান, এডিএম আবির পারভেজ সহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ।
এর আগে শনিবার সকালে বাগেরহাটের শরণখোলা কৃতি সন্তান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র সাবেক ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক প্রাতঃ মনিরুজ্জামান বাদল এর কবরে পুষ্প অর্পণ করেন।
এসময় বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হক উপস্থিত স্থানীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও সাংবাদিকদের সাথে মনিরুজ্জামান বাদলের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বলেন। বাদল ভাই ছিলেন আমাদের পরিবারের একজন ঘনিষ্ঠ মানুষ। আমার আপন মেজ ভাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগ্রামী ছাত্রলীগ নেতা প্রাতঃ আলতাফ হোসেন বাঁধন এর সহযোদ্ধা ও ঘনিষ্ঠ বন্ধু বাদল ভাইর সাথে আমারও ঘনিষ্ঠতা ছিল খুব । ৯০ দশকে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে বাদল ও আলতাফ ভাই এরা দুজনেই ছিলেন ছাত্রলীগের প্রথম সারির নেতা অনেক জেল-জুলুম দমন-পীড়নের শিকার হয়েছিলেন তারা। বাদল ভাই ছিলেন পরোপকারী সদালাপী ব্যক্তি। তার কোনো শত্রু ছিলেন না রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছিল তার রুহের মাগফেরাত কামনা ও পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন শরণখোলা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও শহীদ মনিরুজ্জামান বাদলের ভাতিজা মোঃ রায়হান উদ্দিন আকন শান্ত,উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আজগর আলী, সার্কেল এসপি সোনিয়া আক্তার জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা এম সাইফুল ইসলাম খোকন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান হাসানুজ্জামান পারভেজ শরণখোলা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ সাইদুর রহমান, আওয়ামী লীগ নেতা মেজবাহ উদ্দিন খোকন ও এম ওয়াদুদ আকন সহ মুক্তিযোদ্ধা, রাজনৈতিক, সাংবাদিক ও বিভিন্ন পেশার ব্যক্তিবর্গ।
এবং উপজেলা পরিষদের উদ্যোগে স্থানীয় প্রশাসন দের নিয়ে এক মধ্যাহ্নভোজে মিলিত হন।
তার সফরসঙ্গী হিসেবে সাথে ছিলেন নিকটাত্মীয় শরণখোলা উপজেলা চেয়ারম্যান রায়হান উদ্দিন শান্ত, ভাণ্ডারিয়ার উপজেলার গৌরীপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মজিবুর রহমান চৌধুরী, মোঃ নুরুজ্জামান (শাহীন) সহকারী পরিচালক চ:দ: স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর ঢাকা ও মোহনা টিভির সাংবাদিক এইচ এম জুয়েল সহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যবৃন্দ।
ঐদিন রাতে বিচারপতির বেস্ট ফ্রেন্ড ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহপাঠী আ্যড: মোঃ শেখ আলী আহমেদ খোকন এর নিমন্ত্রনে তার শহরকেন্দ্রিক নিজ বাসায় বিচারপতি পরিবার সহ স্থানীয় বিচারক ও প্রশাসন দের নিয়ে নৈশভোজের অংশ নেন।ওখানে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সাংবাদিক আলামিন খান সুমন সহ কিছু আইনজীবী।
দর্শনীয় স্থানগুলি পরিদর্শন শেষে। (২৬ ডিসেম্বর) সকালে সার্কিট হাউসে বাগেরহাট আইনজীবীরা ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলার/ বার কাউন্সিলের সভাপতির আ্যড: এ কে আজাদ ফিরোজ (টিপু) সাধারণ সম্পাদক আ্যড: মোঃ আলতাফ হোসেন, অর্থ সম্পাদক আ্যড: নওরেশুজ্জামান লালন, কার্যনির্বাহী সদস্য আ্যড: সুমন কুমার সিং ও আ্যড: সুমন কুমার সিনহা সহ অন্যান্য আইনজীবী দের সাথে কুশল বিনিময়সহ স্থানীয় আইন সংক্রান্ত বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন।
পরিশেষে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা গার্ড অব অনার পর ভিআইপি প্রটোকল নিয়ে নিজবাড়ী ভাণ্ডারিয়ায় চলে যান।