নিজস্ব প্রতিবেদকঃ সাম্প্রতিক সময় কোনো এক কু-চক্রী মহল তার ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিল করার লক্ষে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রডাকশন কোম্পানি লিমিটেডের (বাপেক্স) এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ আলীর বিরুদ্ধে দুদকে একটি মিথ্যা অভিযোগ পত্র জমা দিয়েছেন ।
প্রতারক চক্র টি সুধু অভিযোগ দিয়ে ক্ষান্ত হয়নি নামে বেনামে কিছু ভূঁইফোড় অনলাইনে আমাকে নিয়ে মিথ্যা গুজব ছড়াচ্ছেন। যাহা সম্পূন্ন মিথ্যা বানোয়াট ভিত্তিহীন বলে দাবী করেছেন বাপেক্স এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আলী।তিনি বলেন বলেন অভিযোগে যেসকল তথ্য উপস্থাপন করেছেন তা সম্পূন্ন বানোয়াট ।খবর নিয়ে জানা গেছে অভিযোগ কারীর কোনো হদিশ নেই ।
অভিযোগে বলা হয়েছে মোহাম্মদ আলীর থাকা কালীন ৪০০০-চার হাজার কোটি টাকার লোকসানি বোঝায় জর্জরিত বাপেক্স কোম্পনী ।দুঃখের বিষয় হলো মোহাম্মদ আলী বাপেক্স এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এর দায়িত্ববার গ্রহন করেন মে মাসের ২০২০ সালে।মোহাম্মদ আলী দায়িত্ব নেওয়ার আগে ১৯৮৯-২০১৮ ও ২০১০ থেকে ২০১৯ সাল পযর্ন্ত বাপেক্স এর গ্যাস উন্নয়ন তহবিল ঋণ ছিলো ৪০০০ চার হাজার কোটি টাকা ।
অভিযোগে বলা হয়েছে একক সিদ্ধান্তে পদোন্নতি বাণিজ্য চলে,বাপেক্স একক সিদ্ধান্তে বিশ্বাসী নয় তাই যেকোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যৌথ ভাবে । আরেক অভিযোগে বলা হয়ে গত ১০ই অক্টোবর ২০২১ তারিখে বাপেক্সের কর্মকর্তাদের পদোন্নতি তে মোহাম্মদ আলীর হাত আছে ।কিন্তু বাপেক্স পদ ও পদন্নতি,বাপেক্স মূল্যায়ন কমিটির সভার মাধ্যমে দক্ষতা অভিজ্ঞতার যাচাই করে পদোন্নতি দেওয়া হয়।এখানে বানিজ্য করার সুযোগ নেই।
অভিযোগ পত্রে নিয়োগ নিয়ে যেসব অনিয়মের কথা বলা হচ্ছে সেগুলো তার আমলে হয়নি। তিনি যোগদানের পর অল্প কিছু কর্মচারীকে অস্থায়ী থেকে স্থায়ী করা হয়েছে।
তাও উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী।
এছাড়া আরেক অভিযোগে বলা হয়েছে বাপেক্সের সকল বিভাগের ব্যবস্থাপকগণের বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আলীর উপর নাকি গণঅশন্তোষ প্রকাশ করেছেন।বাপেক্স অফিসে গিয়ে স্বশরীলে খবর নিয়ে জানা সবার মুখে একটাই কথা মোহাম্মদ আলী বাপেক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হওয়ার পর থেকে বাপেক্স সর্বদিক থেকে উন্নয়নের জোয়ার বয়ে আনছেন, বাপেক্স অলাভজনক প্রতিষ্ঠান থেকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে রুপান্তরিত করেছেন।
অভিযোগে আরো বলা হয়েছে,মোহাম্মদ আলী টঙ্গী বোর্ড বাজার এলাকায় একটি বিলাস বহুল ৬ তলা বাড়িসহ রাজধানীতে অসংখ্য প্লট রয়েছে ।দুঃখের বিষয় হলো মোহাম্মদ আলীর টঙ্গী বাড়িটি পৈত্রিক বাড়ি। মোহাম্মদ আলী বংশীয় ভাবে অঢেল সম্পত্তির মালিক ছিলেন তার বাবা।তিনি খিলগাঁও ভাড়া বাসায় থাকেন পরিবার নিয়ে।
মোহাম্মদ আলী,এমএসসি,এমবিএ,এলএলবি,ডিগ্রি অর্জন করেন।মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুরোধক্রমে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় মাধ্যমে গত ২০২০ সালের মে মাসে ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে চুক্তিভিত্তিক দায়িত্ব বার গ্রহন করেন।দায়িত্ব নেয়ার সময় সারাবিশ্ব কোভিড-১৯ মহামারিতে আক্রান্ত ছিল।করোনার ক্লান্তি কালে কাজ করতে গিয়ে মোহাম্মদ আলী ও তার পরিবারের লোকজন হয়েছেন করোনা আক্রান্ত। মোহাম্মদ আলী করোনা আক্রান্ত হয়ে জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষনে থেকে দীর্ঘ সময় ছিলেন স্কয়ার হসপিটালে ভর্তি ছিলেন ।
দেশের জ্বালানি পরিস্থিতি বিবেচনায় কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতেও বাপেক্স এর কার্যক্রম চলমান ছিল। এ সময়ে ৯৮ লাইন কিঃমিঃ জিওলজিক্যাল সার্ভে, ৩৫০০ লাইন কিঃমিঃ ২ডি সাইসমিক সার্ভে, ২টি অনুসন্ধান
কূপ খনন, ১টি উন্নয়ন কূপ(সিলেট-৯), ৪টি ওয়ার্কওভার কূপ (শাহবাজপুর-৩, শ্রীকাইল-৪, ফেঞ্চুগঞ্জ-৪ ও তিতাস-৭)এবং ও ৪.৮ কিমি গ্যাস গ্যাদারিং পাইপলাইন স্থাপন করা হয়েছে।জাতীয় গ্রীডে ৮১.০০ এমএমসিএফ গ্যাস যুক্ত হয়েছে এবং গত ৮ মে ২০২১ তারিখে জকিগঞ্জ-১ কূপকে দেশের ২৮তম গ্যাসক্ষেত্র হিসেবে আবিস্কার করা হয়।
শ্রীকাইল গ্যাসক্ষেত্রের জন্য ১০ এমএমএসসিএফডি ক্ষমতা সম্পন্ন ৩টি ওয়েলহেড কম্প্রেসর সংগ্রহ ও স্থাপন চট্টগ্রাম, বান্দরবান, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি এলাকায় Hill Tract JVA কার্যক্রম; চট্টগ্রাম, সিলেট, কুমিল্লা এলাকায় শুষ্ক, পরিত্যক্ত ও স্থগিত কূপ এলাকায় অনুসন্ধান ও উৎপাদনের সম্ভব্যতা যাচাই কার্যক্রম এবং এলাকায় জামালপুর, কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোনা এলাকায় ৮ ও ১১ নং ব্লকে MoU সম্পাদন কার্যক্রম অব্যহত রয়েছে।
২০২০-২০২১ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ পেট্রোবাংলা সম্মাননা স্বারক প্রদান করে।বাপেক্সকে অলাভজনক প্রতিষ্ঠান হতে লাভজনক প্রতিষ্ঠান উন্নীত করা হয়েছে।
বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন এন্ড প্রোডাকশন কোম্পানী লিমিটেড (বাপেক্স)-এর ৩১তম বার্ষিক সাধারণ সভায় ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের কোম্পানির সার্বিক কর্মকাণ্ডের স্মারক হিসেবে বার্ষিক প্রতিবেদন মোহাম্মদ আলী নিজেই প্রকাশ করছেন ।এ প্রতিবেদনে বাপেক্স-এর সামগ্রিক অর্থনৈতিক ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের চিত্র প্রতিফলিত হয়েছে।
বিশ্বব্যাপী জ্বালানির বাজারে সাম্প্রতিক অস্থিরতার মারাত্মক প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশে। এরই মধ্যে বেড়েছে সব ধরনের জ্বালানি তেলের মূল্য। মোট চাহিদার তুলনায় ৭০০ থেকে ৮০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসেরও সঙ্কট রয়েছে। ফলে বাধ্য হয়েই চাহিদা মেটাতে উচ্চ মূল্যে আমদানি করতে হচ্ছে এলএনজি।প্রকৃতির গ্যাস অনুসন্ধান, কূপ খনন এবং গ্যাস উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে বাপেক্স নানাবিধ পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়েছে।
বকেয়া হিসেবে ইতোমধ্যে সুন্দরবন গ্যাস কোম্পানী লিমিটেড হতে প্রায় ৫৪.২৪ কোটি টাকা, পদ্মা অয়েল কোম্পানী লিমিটেড হতে প্রায় ৩.৭৪ কোটি টাকা এবং তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানী লিমিটেড হতে প্রায় ৬৯.৮১ কোটি টাকাসহ মোট ১২৭.৭৯ কোটি টাকা পাওয়া গিয়েছে।
আলোচ্য অর্থবছরে কোম্পানির মোট আয় ৪৮২.২১ কোটি টাকা। এর মধ্যে কোম্পানির নিজস্ব গ্যাসক্ষেত্রসমূহ হতে উৎপাদিত গ্যাস ও কনডেনসেট বিক্রয় বাবদ (এসডি ও ভ্যাট ব্যতীত) ৩১৫.৪৬ কোটি টাকা এবং পিএসসি ব্লক-৯, সুদ প্রাপ্তি ও অন্যান্য খাতে ১৬৬.৭৬ কোটি টাকা আয় হয়।
এছাড়াও কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ কর্তৃক বিভিন্ন সময়ে প্রদত্ত সিদ্ধান্ত ও দিক-নির্দেশনার জন্য আমি আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞ বাপেক্স-এর কর্মকর্তা কর্মচারীদের নিরলস প্রচেষ্টা, প্রতিশ্রুতি ও কর্মদক্ষতার বিনিময়ে আলোচ্য অর্থবছরের সফলতা অর্জিত হয়েছে। তাঁদের প্রতিও রইল আমার আন্তরিক ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতা।
সর্বপরি তিনি বলেন আপনারা অপপ্রচারের কান দিবেন না ।বাপেক্স-কে কারিগরি ও আর্থিক দিক থেকে আরও শক্তিশালী করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগ ও পদোন্নতি, প্রশিক্ষণ প্রদান, আধুনিক প্রযুক্তির যন্ত্রপাতিতে সমৃদ্ধকরণসহ সকল প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে এবং ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত থাকবে।আমি শীর্ঘই কু-চক্র মহলটির বিরুদ্ধে আইননানুগ ব্যবস্থা নিবো ।