নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার কাজিরহাট থানার আন্ধারমানিক ইউনিয়নের আজিমপুর গ্রামের বজলুর রহমান হাওলাদারের ছেলে মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও মধ্য আজিমপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাচান মাহমুদ সায়েদ তার প্রতিবন্ধী চাচা সহিদুল রহমান হাওলাদারে সাথে প্রতারনা করে ৮০ শতাংশ জমি কৌশলে রেজিস্ট্রি করে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।ভুক্তভোগী সহিদুল ইসলাম হাওলাদার জানান, আমার ছেলে মুনমুন গত ২৫ জানুয়ারী প্রতিবন্ধী ভাতা দেওয়ার কথা বলে আটো-রিক্সাযোগে আন্ধারমানিক ইউনিয়ন পরিষদের সামনে নিয়ে যায়।তখন সহিদুল হাওলাদারের ছেলে মুনমুন ইউনিয়ন পরিষদ থেকে এসে বলেন এখানে ফরম নেই হিজলায় যেতে হবে।পথিমধ্যে সায়েদ মাষ্টার ঐ আটোরিক্সায় উঠে তাদেরকে হিজলা উপজেলার খুন্না বাজারের ব্যবসায়ী মাষ্টার মিজান এর ভবনের নিচ তলার একটি কক্ষে নিয়ে যায়।সেখানে গিয়ে তিনি দেখেন, মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার দলিল লেখক নুরু কমিশনারের সাথে একজন অপরিচিত লোক বসা আছে।কিছুক্ষন পর ঐ রুমে প্রবেশ করে আন্ধারমানিক সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অহিদুল ইসলাম সহ কয়েকজন।তখন সহিদুল হাওলাদারকে একটি দলিলে স্বাক্ষর দিতে বললে তিনি অস্বীকৃতি জানায়।তখন তার ভাতিজা সায়েদ মাষ্টার তার গলায় ছুরি ধরে বলেন স্বাক্ষর না করলে বুঝতে পারছেন কি করবো।তখন তিনি ভয়ে অচেতন হয়ে পরেন।কিছুক্ষন পরে তার জ্ঞান ফিরলে জোড়পূর্বক দলিলে স্বাক্ষর নেয়া হয়।
এ বিষয়ে সায়েদ মাষ্টার জানায়,আমার চাচা সহিদুল হাওলাদারের দ্বিতীয় স্ত্রীর ছেলে মুনমুন আমার থেকে ৮০ শতাংশ জমি বিক্রির কথা বলে এক বছর পূর্বে ১ লক্ষ টাকা নেয় এবং বাকি টাকা দলিল দিয়ে নিয়েছে।মেহেন্দিগঞ্জে দলিল না হয়ে হিজলায় কেনো করা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কমিশন দলিল যে কোনো জায়গায় হতে পারে।তিনি আরো বলেন, সহিদুল হাওলাদার অন্যন্য ছেলেদের ভয়ে গোপনীয়তা রক্ষার জন্য আমাকে বললে তার সুবিধাত্বে আমি হিজলা উপজেলার ঐ জায়গাটি বেছে নিয়েছি।মেহেন্দিগঞ্জের দলিল লেখক নুরু কমিশনার জানায়, বাংলাদেশের যে কোনো জায়গায় আমরা কমিশন দলিল করতে পারি।যেখানে দলিল হয়েছে সেই ভবনের মালিক মাষ্টার মিজানুর রহমান জানায়, আমাকে সায়েদ মাষ্টার ফোন করে বলে আপনার বাসায় মেহমান নিয়ে যাব।তখন আমার স্ত্রীকে ফোন দিয়ে রুমের দরজা খুলে দিতে বলি।পরে জানতে পারি সায়েদ মাষ্টার আমার বাসায় তার চাচা থেকে একটি জমির দলিল সম্পাদন করেছে।স্থানীয় লিটন হাওলাদার জানায়, সায়েদ মাষ্টার প্রতারনা করে চাচা সহিদুল ইসলামের জমি দলিল করে নিয়ে যায়।এ ঘটনায় সহিদুল হাওলাদারের বড় ছেলে জসিম হাওলাদার আমাকে নিয়ে কাজিরহাট থানায় একটি অভিযোগ করতে যায়।শুনেই সায়েদ মাষ্টার ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে প্রকাশ্যে মারপিট করে।কাজিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, তাদেরকে আদালতে যাওয়ার পরার্মশ দেওয়া হয়েছে।অভিযোগটি তিনি কেনো আমলে নেয়নি জানতে চাইলে এ বিষয়টি এড়িয়ে যান।