তৃণমূল প্রতিনিধি:- আগামীকালের মধ্যে তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানকে পদত্যাগের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সোমবার রাত ৮ টায় ডা. মুরাদ হাসানকে প্রধানমন্ত্রীর এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
সোমবার রাতে নিজের সরকারি বাসভবনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সরকারের সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এ তথ্য জানিয়েছেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আজ সন্ধ্যায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে এ বিষয়ে কথা হয়েছে। আমি আজ রাত ৮টায় প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসানকে বার্তাটি পৌঁছে দিই।
তথ্য প্রতিমন্ত্রী ‘নারী বিদ্বেষমূলক’ যে বক্তব্য দিয়েছেন, এতে দল বা সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে কিনা— সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সোমবার সকালে ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের দেওয়া বক্তব্য তার ব্যক্তিগত মন্তব্য। এটি দল বা সরকারের নয়। এ ধরনের বক্তব্য তিনি কেন দিলেন, বিষয়টি নিয়ে অবশ্যই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করা হবে।
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য যোগাযোগ করা হলে প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসানের ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।
ডা. মো. মুরাদ হাসান একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামালপুর-৪ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০৮ সালেও তিনি একই আসনে থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন।
২০১৯ সালে সরকার গঠনের সময় মুরাদ হাসানকে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়। পরে ৫ মাসের মাথায় ওই বছরের ১৯ মে তার দফতর পরিবর্তন করে তথ্য প্রতিমন্ত্রী করা হয়।
প্রসঙ্গত, ইসলাম ধর্ম রাষ্ট্র এ নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করার তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েন এবং সম্প্রতি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার(দৌহিত্র) পরিবারের এক সদস্যকে নিয়ে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের ‘নারীবিদ্বেষী’ বক্তব্য নিয়ে নারীবাদের তোপের মুখে পড়েন এবং ব্যাপক সমালোচনা সৃষ্টি হয়।
এরই মধ্যে রোববার ফাঁস হয় একটি অশ্লীল ফোনালাপ তাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নতুন করে তোপের মুখে পড়েছেন তিনি। দাবি করা হচ্ছে, এই কথোপকথনটি ডা. মুরাদ হাসান ও চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহিরৃ।
ফোনালাপে থাকা চিত্রনায়ক ইমন ইতোমধ্যে সেটি স্বীকারও করেছেন। ফাঁস হওয়া ওই কথোপকথনে তথ্য প্রতিমন্ত্রী মাহিকে ধর্ষণের হুমকি দেওয়ার পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় তুলে আনার হুমকি দেন। পুরো বক্তব্যে ‘অশ্রাব্য’ কিছু শব্দ উচ্চারিত হয়েছে। বিষয়টি এখন ‘টক অব দ্য কান্ট্রি’।