1. admin@dainiktrinamoolsangbad.com : admin :
বুধবার, ০৭ জুন ২০২৩, ০৪:৪৩ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
কয়লার অভাবে বন্ধ পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র” তীব্র গরমে বিদ্যুতের লোডশেডিং!  পাথরঘাটায় পরিত্যক্ত ভবনে লাইব্রেরী” প্রচন্ড তাপদাহে টিনশেডে শিশুদের ক্লাস! মঠবাড়িয়া রিপোর্টার্স ক্লাবের “সভাপতি নাজমুল-সম্পাদক কামরুল! হিজলায় প্রতিবন্ধী ও অসহায় পরিবারের মাঝে এফ এ আর গ্রুপের গরু বিতরণ জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ ২০২৩’ ভান্ডারিয়ায় কলেজ পর্যায় শ্রেষ্ঠ শ্রেণী শিক্ষক “নুরুজ্জামান হাওলাদার ঘূর্ণিঝড়ে জন্ম নিয়েছে শিশু” মা’ নাম রেখেছে মোখা! ভান্ডারিয়ায় শিক্ষক কর্মচারী ঐক্য জোটের কমিটি গঠন, সভাপতি মনির-সম্পাদক পলাশ! পিরোজপুর জেলা জাতীয় যুব সংহতির”  হাফিজুর রহমান আহবায়ক ও আবুল কালাম সদস্য সচিব। মঠবাড়িয়ায় মানবসেবা সংগঠনের পক্ষ থেকে অসুস্থ ছাত্রীকে “আর্থিক সহায়তা। র‌্যাবের অভিযানে “মঠবাড়িয়া পুলিশের উপর হামলার ৫ আসামি গ্রেপ্তার।

দেশের সাড়ে ১৬ কোটি মানুষ গুনতে “এক হাজার ৫৭৫ কোটি টাকা খরচ।

এইচ এম জুয়েল
  • আপডেট সময় : বৃহস্পতিবার, ২৮ জুলাই, ২০২২
  • ১২৯ বার পঠিত

দেশের সাড়ে ১৬ কোটি মানুষ গুনতে “এক হাজার ৫৭৫ কোটি টাকা খরচ।

এইচ এম জুয়েলঃ  দেশের জনসংখ্যা এখন ১৬ কোটি ৫১ লাখ ৫৮ হাজার ৬১৬ জন। এরমধ্যে পুরুষ ৮ কোটি ১৭ লাখ ১২ হাজার ৮২৪ এবং নারী ৮ কোটি ৩৩ লাখ ৪৭ হাজার ২০৬ জন। এছাড়া তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠী ১২ হাজার ৬২৯ জন। বহুল প্রতীক্ষিত জনশুমারি ও গৃহগণনায় এ তথ্য মিলেছে।

আর দেশের অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যেও সাড়ে ১৬ কোটি মানুষ গুনতে “এক হাজার ৫৭৫ কোটি টাকা খরচ করেছে সরকার।

দেশের প্রথম ডিজিটাল এ জনশুমারিতে তথ্য সংগ্রহের জন্য তিন লাখ ৯৫ হাজার ট্যাব কেনা হয়। এতে ব্যয় হয়েছে ৪৪৭ কোটি ৭৭ লাখ ৭৭ হাজার ৬৭০ টাকা। এছাড়া প্রায় ৪ লাখ গণনাকারী ও সুপারভাইজারদের সম্মানি বাবদ ৪৫৭ কোটি টাকা খরচ হয়। এসব টাকা বিকাশের মাধ্যমে পেমেন্ট করা হয়েছে।

বুধবার (২৭ জুলাই) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনকেন্দ্রে জনশুমারি ও গৃহগণনার প্রাথমিক প্রতিবেদনের তথ্য তুলে ধরা হয়।পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে প্রকল্প পরিচালক মো. দিলদার হোসেন জানান  আইন অনুযায়ী প্রতি ১০ বছর পরপর দেশের প্রতিটি মানুষকে গণনার আওতায় আনা হয়। তবে করোনার কারণে বিলম্বিত হয়েছে।            পরিসংখ্যান আইন, ২০১৩ অনুযায়ী ‘আদমশুমারি’-কে ‘জনশুমারি’ হিসেবে অভিহিত করা হয়। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রশিক্ষিত দক্ষ লোক দ্বারা সম্পূর্ণ ডিজিটাল পদ্ধতিতে জনশুমারি ও গৃহগণনা’ করা হয়েছে যাতে কোন পরিবার বা খানা বাদ না পড়ে। গত ১৫ থেকে ২১ জুন দেশব্যাপী এ শুমারি পরিচালিত হয়।

তবে এত কিছুর পরেও অনেক পরিবার তথা খানা এই জনশুমারি গণনায় না আসতে পারায় অনেকেই খোপ প্রকাশ করেছেন তারা  “তৃণমূল সংবাদকে ” জানান আমি কি এই দেশের নাগরিক নই। আমাদের বাদ রাখলে কেন। এত টাকা ব্যয় করেও পরিপূর্ণ গণনা করতে পারলেন না সরকার। আমরা মনে করি এই জনশুমারি তো সরকারি প্রাথমিক শিক্ষক দ্বারাই করা সম্ভব ছিল। বিগত দিনেও তারা করেছে। দেশের অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যে, রাষ্ট্রের এত গুলো টাকা ব্যয় করার কি দরকার।

প্রসঙ্গত, স্বাধীনতার পর ১৯৭৪ সালে অনুষ্ঠিত প্রথম শুমারিতে দেশের জনসংখ্যা ছিল ৭ কোটি ১৫ লাখ। এরপর ১৯৮১ সালে দ্বিতীয় আদমশুমারিতে জনসংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৮ কোটি ৭১ লাখ ১৯ হাজার ৯৬৫ জনে। ১৯৯১ সালে তৃতীয়  আদমশুমারিতে জনসংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ১০ কোটি ৬৩ লাখে।২০০১ সালে চতুর্থ আদমশুমারিতে  জনসংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ১২ কোটি ২৪ লাখ। ২০১১ সালে পঞ্চম আদমশুমারিতে দেখা যায়, দেশের জনসংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৪ কোটি ৪০ লাখ। এবার ২০২২ এ ষষ্ঠ হয়ে গেল।

বিবিএসের শুমারি অনুসারে, দেশের মোট জনসংখ্যার ১১ কোটি ৩০ লাখ ৬৩ হাজার ৫৮৭ জন গ্রামের বাসিন্দা। আর শহরের বাসিন্দা পাঁচ কোটি ২০ লাখ নয় হাজার ৭২ জন। দেশে জনসংখ্যার গড় বার্ষিক বৃদ্ধির হার ১ দশমিক ২২ শতাংশ। ২০১১ সালের শুমারিতে এই হার ছিল ১ দশমিক ৪৬। দেশে প্রতি বর্গকিলোমিটারে জনসংখ্যার ঘনত্ব এক হাজার ১১৯। যা ২০১১ সালে ছিল ৯৭৬। দেশে স্বাক্ষরতার হার ৭৬ দশমিক ৬৬। পুরুষ জনগোষ্ঠীর স্বাক্ষরতার হার ৭৬ দশমিক ৫৬ শতাংশ, নারী জনগোষ্ঠীর এ হার ৭২ দশমিক ৮২।এছাড়া ৯৮ জন পুরুষের বিপরীতে নারীর সংখ্যা ১০০ জন। বাংলাদেশে নারীদের গড় আয়ু ৭৫ বছর, যেখানে পুরুষদের গড় আয়ু ৭১ বছর।অর্থাৎ পুরুষের চেয়ে চার বছর নারীর আয়ু বেশি।১০ থেকে তার বেশি বয়সী জনগোষ্ঠীর মধ্যে ২৮ শতাংশ অবিবাহিত এবং বিবাহিত ৬৫ শতাংশ। মোট জনংখ্যার ৯১ দশমিক ০৪ শতাংশ মুসলিম, হিন্দু ৭ দশমিক ৯৫ শতাংশ। এছাড়া প্রতিবন্ধিতার হার ১ দশমিক ৪৩ শতাংশ।

এছাড়া দেশে মোবাইল ব্যবহারকারীর হার ৫৫ দশমিক ৮৯ শতাংশ এবং ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ৩০ দশমিক ৬৮ শতাংশ। দেশে মোট খানার সংখ্যা ৪ কোটি ১০ লাখ ১০ হাজার ৫১টি। গড়ে খানার আকার ৪ জন, এক দশক আগে যা ছিল সাড়ে ৪ জন।

দেশের মোট জনসংখ্যার মধ্যে ৪ কোটি ৪০ লাখ মানুষ রাজধানী ঢাকায় বসবাস করেন। রাজধানীতে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১ দশমিক ৯৪ শতাংশ।এর বাইরে চট্টগ্রামে ৩ কোটি ৩২ লাখ, রাজশাহীতে ২ কোটি ৩ লাখ মানুষ বাস করছেন এবং বরিশাল বিভাগে দেশের সর্বনিম্ন ৯১ লাখ মানুষ বসবাস করে।

আদমশুমারি নিয়ে কিছু তথ্য

* ভারত উপমহাদেশে প্রথম আদমশুমারি হয় ব্রিটিশ আমলে, ১৮৭২ সালে।এর পরের আদমশুমারি হয় ১৮৮১ সালে।তারপর থেকে এই উপমহাদেশে প্রতি ১০ বছর পরপর আদমশুমারি হয়ে আসছে।তথ্যঃ সংগ্রহীত।

এ জাতীয় আরও খবর
© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২০ দৈনিক তৃণমূল সংবাদ
Theme Customized BY Theme Park BD