এইচ এম জুয়েল:- দুই বোনের এক স্বামী, আপন ছোট বোন স্বর্ণালীকে সতীন হিসেবে মেনে নিলেন বড় বোন রুপালী।এ যেন সিনেমার গল্পকেও হার মানাবে। কিছুটা অবিশ্বাস্য হলেও ঘটনা সত্য।
পিরোজপুরের নাজিরপুর সদর ইউনিয়নের কাঁঠালিয়া এলাকায় একে একে আপন দুই বোনকে বিয়ে করেছেন সুজিত গাইন নামে এক যুবক। তিনি পেশায় একজন ডেকোরেটর ব্যবসায়ী।
জানা যায়, উপজেলার কাঁঠালিয়া গ্রামের মৃত মাস্টার কেদারনাথ গাইনের ছেলে সুজিত গাইনের সঙ্গে উপজেলার ঘোপেরখাল গ্রামের কালিপদ সিকদারের মেয়ে প্রথমে রূপালী গাইনকে (২৫) বিয়ে করেন ৫ বছর আগে। এরই মাঝে তাদের সংসাকে আলোকিত করে জন্ম নেয় দুটি সন্তান। প্রথম সন্তানের বয়স ৪ বছর এবং দ্বিতীয় সন্তানের বয়স ২ বছর।
সম্প্রতি আবারও তিনি তার শ্যালিকা অর্থাৎ প্রথম স্ত্রীর আপন ছোট বোন স্বর্ণালীকে (১৮) নিয়ে পালিয়ে গিয়ে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় বিয়ে করে একই ঘরে সংসার পেতেছেন সুজিত গাইন।
মেয়ের ভাই জয়দেব সিকদার জানায়, সুজিত গাইনের সঙ্গে আনুমানিক ৫ বছর আগে আমার মেজ বোনের বিয়ে দেই, সেই সুবাদে আমার ছোট বোন ভগ্নিপতির বাড়িতে থেকে পড়াশুনা করত। ভগ্নিপতির বাড়িতে থাকায় আস্তে আস্তে স্বর্ণালীর সঙ্গে সুজিতের প্রেম ভালোবাসা সৃষ্টি হয়, আমরা জানতে পেরে আমার বোনকে আমাদের বাড়িতে নিয়ে যাই। পরবর্তীতে স্বর্ণালীকে খুঁজে না পাওয়ায় আমার বাবা নাজিরপুর থানায় ভগ্নিপতি সুজিত গাইনের নামে অভিযোগ করেন।
ছেলে সুজিত গাইনের কাকা গজেন গাইন বলেন যা হওয়ার তো হয়ে গেছে এখন আমরা দুই পরিবার সিদ্ধান্ত নিয়েছি ভালো দিনক্ষণ দেখে আনুষ্ঠানিকতা শেষ করব।
সুজিত গাইন জানান, আমার ছোট সেলিকা স্বর্ণালীর প্রতি ভালোবাসা সৃষ্টি হয় সেই ভালো লাগা থেকেই এই বিয়ে করেছি। তবে আমার প্রথম স্ত্রী এই বিয়ে মেনে নিয়েছে। এখন আমি প্রথম ও দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে একসঙ্গে মিলে মিশে ঘর সংসার করতে চাই।
এ বিষয়ে সুজিত গাইনের প্রথম স্ত্রী রূপালী গাইনের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, এ বিয়ে আমি মেনে নিয়েছি যেহেতু স্বর্ণালী আমার আপন স্নেহের ছোট বোন ওকে নিয়ে একই ঘরে সংসার করতে আমার কোনো আপত্তি নাই।
নাজিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হুমায়ুন কবির জানান, স্বর্ণালীর বাবা প্রথমে তাকে খুঁজে না পেয়ে নাজিরপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলেন। পরে এই অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা সুজিত ও স্বর্ণালীকে তাদের এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে উদ্ধার করে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিয়েছি। পরে তিনি অভিযোগ তুলে নিয়েছেন। তাদের কোনো অভিযোগ না থাকায় থানায় মামলা করা হয়নি।