তৃণমূল প্রতিনিধিঃ রাজধানীর উত্তরা এলাকায় বিআরটিএর উড়াল সড়কের গার্ডার পরে দুর্ঘটনা কবলিত প্রাইভেট কারটিতে “বউ ভাতের” অনুষ্ঠান শেষ করে ফিরছিলেন পরিবারের সদস্যরা। ওই গাড়িতে নব দম্পতিও ছিলেন। দুর্ঘটনায় আহত অবস্থায় অলৌকিকভাবে বেঁচে থাকা দুজনই হলো “বর-কনে” এ ঘটনায় গাড়ি থেকে পাঁচজনের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা।
বেঁচে থাকা আহত নব দম্পতির অবস্থাও আশঙ্কাজনক।সোমবার বিকেল ৪টা ২০ মিনিটের উত্তরা জসীম উদ্দীন এলাকায় আড়ংয়ের সামনে গাড়ির ওপর গার্ডার পড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এর প্রায় সাড়ে ৩ ঘণ্টা পর সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে গার্ডার সরিয়ে পাঁচজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।….নিহতরা হলেন- মো. রুবেল (৬০), ফাহিমা (৪০), ঝরনা (২৮), ঝরনার দুই সন্তান জান্নাত (৬) ও জাকারিয়া (২)। ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়েছে। আহতরা হলো- হৃদয় (২৬) ও রিয়া মনি (২১)। তাদের গুরুতর অবস্থায় স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।লাশগুলো উদ্ধারের পর রাত পৌনে ৮টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক সাইফুজ্জামান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে একজন পুরুষ, দুজন নারী ও দুটি শিশু রয়েছে। তাঁদের সবার লাশ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
প্রাইভেট কারের ওপর থেকে গার্ডার সরাতে এত দেরি হওয়ার কারণ জানতে চাইলে ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা সাইফুজ্জামান বলেন, ১৫০ ওজনের ‘এত বড় গার্ডার সরানোর সক্ষমতা ফায়ার সার্ভিসের নেই। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের লোকজন দেরি করে আসার পর এস্কেভেটর দিয়ে গার্ডার একটু উঁচু করে প্রাাইভেকারের ভেতর থেকে পাঁচজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঢাকায় একটি বউভাতের অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে ফেরার পথে দুর্ঘটনার শিকার হন হতাহত ব্যক্তিরা। ঘটনার পরপরই দুজনকে আহত অবস্থায় প্রাইভেট কার থেকে বের করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। তখন গার্ডারের নিচে চাপা পড়া গাড়িটির ভেতরে পাঁচজন ছিলেন। তখন তাঁদের কয়েকজনকে বাইরে থেকে দেখা যাচ্ছিল।
জানা গেছে, শরিয়তপুর সদরের ঢালী বাজার এলাকার বাসিন্দা ও আহত হৃদয়ের বাবা মো. রুবেল (বর্তমান ঠিকানা- কাওলা) গাড়িটি চালাচ্ছিলেন। গত শনিবার হৃদয়-রিয়ামনির বিয়ে হয়েছে। আজ সোমবার কাওলায় হৃদয়দের বাড়িতে ছিল বউভাতের অনুষ্ঠান।করা হয়েছে।
উল্লেখ্য ২০১২ সালের ২৪ নভেম্বর চট্টগ্রাম নগরীর বহদ্দারহাট এলাকায় নির্মাণাধীন ফ্লাইওভারের গার্ডার ধসে ১৩ জন প্রাণ হারালে ২৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয় কিন্তু আজও শেষ হয়নি মামলার বিচার কার্যক্রম।
বিশেষজ্ঞদের মত সম্প্রতি ঢাকায় হয়েছিল কিছু দুর্ঘটনা এরকম ভারী কাজের জন্য হালকা ইকুপমেন্ট ব্যবহার করা উচিত নয়। এরকম মৃত্যু খুবই দুঃখজনক।