ঝালকাঠির নলছিটিতে আনিসুর রহমান রুম্মান বিশ্বাস (২০) নামে এক যুবককে গলাকেটে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষরা। পুরনো বিরোধের জের ধরে রবিবার রাতে উপজেলার দপদপিয়ার জিরো পয়েন্ট এলাকায় এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। নিহত আনিসুর ওই এলাকার আব্দুস সাত্তার বিশ্বাসের ছেলে এবং এম খান গ্রুপের ঠিকাদার মাহফুজ খানের দপদপিয়ায় টোলের ক্যাশিয়ারের দায়িত্বে ছিলেন।
পুলিশ ও নিহতের পরিবার জানায়, প্রতিবেশী আল মামুন ও রানা হাওলাদারদের সঙ্গে জমি নিয়ে বিরোধ ছিল নিহত রুম্মানের পরিবারের। রবিবার রুম্মানের চাচা মুন্না বিশ্বাসের সঙ্গে দপদপিয়া ফেরিঘাট এলাকায় একটি চায়ের দোকানে বসে কথার কাটাকাটি হয় আল মামুনের ভাগনে রিয়াদের। বিষয়টি রিয়াদ তার স্বজনদের জানালে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে বিকেল থেকে অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে মহড়া দেয় মুন্নাদের বাড়ির আশেপাশে।
মুন্নার ভাতিজা রুম্মান রাতে বাড়ির সামনে বের হলে তাকে ধরে নিয়ে যায় আল মামুন, রিয়াদ, বাপ্পি হাওলাদারসহ ১০-১২ জন যুবক। পরে বাড়ির সামনের রাস্তায় রুম্মানকে গলাকেটে ফেলে রেখে যায় তারা।
চিৎকার শুনে গুরুতর অবস্থায় রুম্মানকে পরিবারের লোকজন উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত রুম্মানের চাচাতো ভাই আজিজ বিশ্বাস বলেন, আল মামুনের বাহিনী রুম্মানকে ধরে নিয়ে যায়। আমি ও আমার ভাবি তাদের বাধা দিলেও শোনেনি। পরে টেনেহিঁচড়ে তারা রুম্মানকে বাড়ির সামনের রাস্তায় নিয়ে যায়। আমরাও তাদের পেছনে পেছনে যাই। বাপ্পি নামের একটি ছেলে আমাদের চোখের সামনেই রুম্মানের গলায় দা দিয়ে আঘাত করে। রুম্মান ও আমাদের চিৎকার শুনে লোকজন এসে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পরে মৃত্যু হয়। আমরা এর কঠিন শাস্তি চাই।
তিনি বলেন, হত্যাকাণ্ডে ১০-১২ জন জড়িত ছিল। আমরা তাদের সবাইকে চিনতে পেরেছি।
নলছিটি থানার ওসি (তদন্ত) আব্দুল হালিম তালুকদার বলেন, ‘গুরুতর আহত অবস্থায় আনিসুর রহমান রুম্মান বিশ্বাসকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানেই তার মৃত্যু। মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান চালানো হচ্ছে।