ইকবাল কবির পিরোজপুর থেকেঃ বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি প্রবল ঘূর্ণিঝড় “ হামুন” মোকাবিলায় পিরোজপুরে ৪০৭ আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। এছাড়াও ঘূর্ণিঝড় হামুন এর সার্বিক ব্যবস্থাপনায় জেলা শহর সহ জেলায় ৭ টি উপজেলায় মোট ৮ টি কন্টোল রুম খোলা হয়েছে ।
মঙ্গলবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের আয়োজনে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরী সভায় এ কথা জানান পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহেদুর রহমান।
সভায় আরো জানানো হয় এই দুর্যোগ মোবাকেলায় জেলা প্রশাসনের কাছে ৪ লক্ষ ৪০ হাজার নগদ টাকা, ৫০ ভান টিন, ৪১২ মে.টন চাল ও ৪ হাজার কম্বল রয়েছে। এছাড়াও জনগনের সেবার জন্য ৬৩টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। অপরদিকে দুর্যোগ পূর্ব ও পরবর্তী মানুষের সেবা দিতে ১৭০০ সিপিপি সদস্য ও ৩৫০ জন স্কাউট সদস্য কাজ করবেন।
আবহাওয়া অফিসের তথ্য মতে পিরোজপুর জেলা সহ তার পাশবর্তী দ্বীপ সমূহকে সন্ধ্যার পর ৭ নম্বর বিপদ সংকেত নামিয়ে ০৫ নম্বর বিপদ সংকেত দেখানো হয়েছে এবং ৩-৪ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছাসের আশঙ্কা রয়েছে। তাই আজ রাতের মধ্যে উপকূলীয় এলাকার মানুষদের নিরাপদে রাখার জন্য আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হবে বলে জানান জেলা প্রশাসক।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় হামুন দিক পরিবর্তন করে বঙ্গোপসাগরে দক্ষিণ পূর্ব কোণে চট্টগ্রাম- নোয়াখালী -কক্সবাজারের উপর দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে এবং তার তীরবর্তী দ্বীপসমূহ কে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় অঞ্চলের স্বেচ্ছাসেবক কর্মীরা জনসাধারণের সচেতনতায় কাজ করে যাচ্ছে। সেচ্ছাসেবকদের সঙ্গে কথা বলে জানাগেছে,বিগত সময়ের অভিজ্ঞতায় মানুষের মধ্যে বেশী আতঙ্ক রয়েছে। সবমিলিয়ে উপকূলজুড়ে জনমনে আতঙ্ক বিরাজ করছে ।