তৃণমূল প্রতিনিধিঃ ঝালকাঠির কাঠালিয়া উপজেলার মহিষকান্দি গ্রামে আপন ছোট ভাই বেল্লাল হাওলাদার (৩৫)-কে কুপিয়ে হত্যা করেছে বড়ভাই নুরুল হক নুরু হাওলাদার। সোমবার(১৪ নভেম্বর) ভোররাতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত বেল্লাল মহিষকান্দি গ্রামের মৃত মোমিন হাওলাদারের ছেলে। সে পল্লী বিদ্যুতের রিডার হিসেবে কর্মরত ছিল। জমি নিয়ে বিরোধের কারণে বেল্লাল নিজ বাড়ি ছেড়ে প্রতিবেশীর বাড়িতে বসবাস করতো। সেখানেই ঘুমন্ত অবস্থায় কুপিয়ে হত্যা করেছে তার আপন বড় ভাই নুরুল হক নুরু (৫০)। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বেলাল অবিবাহিত এবং একা থাকার কারণে প্রতিবেশী ছোবাহান হাওলাদারের বাড়িতে রাত্রিযাপন করতো। সোমবার প্রতিদিনের মত প্রতিবেশীর বাড়ি ঘুমিয়ে ছিলো বেল্লাল। সোমবার ভোররাতে ঘর মালিক ফজরের নামাজের জন্য বাইরে বের হলে বেল্লালের সাথে কথা বলবে বলে তার ঘরে প্রবেশ করে বড় ভাই নুরু। পরে বেল্লালের মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে এলোপাতাড়িভাবে কোপাতে থাকে নুরু।
ঘর মালিকের ছেলে আল আমিন বলেন, ফজরের সময় নুরু কাকা আমাদের বাড়িতে আসছে, আমি বলেছি আপনি কেন আসছেন তখন নুরু কাকা বলেন তুই ছোট মানুষ বুঝবি না ঘুমিয়ে থাক, তখন আমি আবার শুয়ে পড়ে। বেল্লালের কাছে গিয়ে মাথায় কোপ শুরু করে নুরু, আমি ডাক চিৎকার দিয়ে লোক ডাকলেও কেউ আসেনি। তখন নুরু বাইরে চলে যায়, এর পর আল আমিন ও মিজান তার পিছু নিয়ে মজসিদের সামনে গেলে লোকজন ডেকে তাকে ধরা হয়।
আটক বড় ভাই নুরুল হক নুরু জানান নিহত ছোট ভাই বেল্লাল আমার বাবা এবং মায়ের কাছ থেকে ভুল বুঝিয়ে জমি রেজিস্টি করে নিয়েছে একাধিক সালিশি ব্যবস্থায় ডাকলেও সে কখনো আসেনি বরং আমার পরিবার বিরুদ্ধে উলটো একাধিক মামলা দিয়েছে। তাই মনের ক্ষোভে স্বগেয়ানে আমি এই হত্যাকাণ্ড করেছি আমি ব্যতীতীয় আমার পরিবার এই হত্যাকান্ডে জড়িত নয়। আপনারা (গ্রামবাসী) আমাকে কেউ মারবেন না আমি চোরও না চোট্টাও না যা হবার আইনি হবে।
এ বিষয়ে কাঠালিয়া থানার ওসি (তদন্ত) শাহিন হোসেন জানান, নুরাকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য প্রেরণ করা হয়েছে।