তৃণমূল ডেস্কঃ গণকমিশনের কোনো ভিত্তি নেই বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেন, গণকমিশনের নামে দেশে কেউ বিশৃঙ্খলা করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শুক্রবার (২০ মে) দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এদিন লায়ন্স ক্লাব ইন্টারন্যাশনালের ২৭তম বার্ষিক সম্মেলন হয়।
এসময় গণকমিশনের তালিকা সম্পর্কে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তারা ‘২০০৩ এ সন্ত্রাস’ নামে একটি বই প্রকাশ করেছে। এর ভেতরে কী লিখেছে আমি জানি না। তারা যাদের নামে সন্ত্রাস কিংবা দুর্নীতির দায়ভার দিচ্ছে সেটা আমরা দেখিনি, তাই এর সম্পর্কে কিছু বলতে পারবো না।
গণকমিশনের বিরুদ্ধে এখন যদি ১১৬জন আলেমেরা হাজার কোটি টাকার মামলা করে দেয় তখন কি করবে তারা।
সম্প্রতি ১১৬ ওয়ায়েজিনের (ধর্মীয় বক্তা) একটি তালিকা দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) জমা দিয়েছে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সমন্বয়ে গঠিত মৌলবাদী ও সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস তদন্তে গঠিত গণকমিশন।
দুদক চেয়ারম্যানের কাছে দেওয়া ২২শ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনের ৭৬০ ও ৭৬১ পৃষ্ঠায় ধর্মীয় বক্তাদের নাম প্রকাশ করা হয়। এদের বিরুদ্ধে জঙ্গি অর্থায়ন ও ওয়াজের মাধ্যমে ধর্মীয় সম্প্রীতি নষ্ট করার অভিযোগ আনে গণকমিশন।
গণকমিশনের চেয়ারম্যান হলেন সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক ও সদস্য সচিব ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ।
সে সময় অবসরপ্রাপ্ত এই বিচারপতি বলেন, আমরা নয় মাস তদন্ত করেছি। বহু ভুক্তভোগীর সাক্ষ্য নিয়েছি। দুদক চেয়ারম্যান আমাদের জানিয়েছেন অর্ধশতাধিক ওয়াজ ব্যবসায়ীর দুর্নীতির খোঁজ শুরু করেছেন।
ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ বলেন, সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী ও হেফাজতের কর্মকাণ্ড উঠে এসেছে। তাদের অর্থনৈতিক জবাবদিহিতার আওতায় আনা হবে বলে প্রত্যাশা করছি।