1. admin@dainiktrinamoolsangbad.com : admin :
শনিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১১:৫৪ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
নলছিটিতে জমজমাট কোচিং বাণিজ্য! হিজলায় ধর্ষণ মামলা তুলে নিতে বাদী ও তার পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকি হিজলায় কৃতি শিক্ষার্থীদের মাঝে বৃত্তি ও পুরস্কার বিতরণ। ভারসম্যহীন নারীর নবজাতক শিশুটি”এখন ছোটমণি নিবাসে! কাঠালিয়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে পল্লী বিদ্যুতের দুই কর্মীর মৃত্যু  পিরোজপুরের ১ ও ২ নির্বাচনী আসন নিয়ে হাইকোর্টের রুল! বর্ণাঢ্য আয়োজনে হিজলায় স্বেচ্ছাসেবক লীগের ২৯ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত বাস দূর্ঘটনায় মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসা যাত্রীদের লোমহর্ষক বর্ণনা! বজ্রপাতে মেঘনা নদীতে পড়ে ছেলে নিখোঁজ” বাবা আহত! নেছারাবাদ গুয়ারেখা ইউপি উপনির্বাচনে “নৌকা পেলেন ফারজানা আক্তার!

গণঅধিকার পরিষদ’ নামে ড.রেজা কিবরিয়া ও ভিপি নুরের নতুন দল

এইচ এম জুয়েল
  • আপডেট সময় : বুধবার, ২৭ অক্টোবর, ২০২১
  • ৩৩৪ বার পঠিত

গণঅধিকার পরিষদ’ নামে

ড.রেজা কিবরিয়া ও ভিপি নুরের  নতুন দল

এইচ এম জুয়েল:- ‘জনতার অধিকার, আমাদের অঙ্গীকার’ এই  স্লোগান কে সামনে রেখে। রেজা কিবরিয়া ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের নেতৃত্বে নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ হয়েছে। দলের নাম রাখা হয়েছে ‘গণঅধিকার পরিষদ’। নুর বলেন,‘মুক্তিযুদ্ধের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের জন্য আমরা মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছি। পুলিশের অনুমতি না পাওয়ায় এখানে ছোট পরিসরে করতে হচ্ছে। আমরা আর কাউকে এজন্য বলিনি।  নিরস্ত্র সভা সমাবেশ করার অধিকার এদেশের সংবিধান দিয়েছে।

গত সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে দলটির আত্মপ্রকাশ হওয়ার কথা থাকলেও দফায়-দফায় তা পিছিয়ে শেষ পর্যন্ত মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) পুরানা পল্টনের প্রিতম-জামান ভবনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের মধ্য দিয়ে সামনে এসেছে প্রায় দুই বছরের এই উদ্যোগটি রাজধানীর পুরানা পল্টনে দলটির কার্যালয়ে দলের নাম ঘোষণা করেন নুর।

 দলটির আহ্বায়ক করা হয়েছে সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়ার ছেলে ড. রেজা কিবরিয়াকে।

গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার, অধিকার ও জাতীয় স্বার্থ— এই চারটি মূলনীতির ভিত্তি করে দলটির রাজনৈতিক কাজ পরিচালিত হবে।

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।

রেজানূরের নতুন দলে গঠনতন্ত্রে কী আছে ?

নতুন এই দলের খসড়া কর্মসূচিতে ২১ দফা যুক্ত করা হয়েছে। যার প্রত্যেকটি প্রায় কোনও না কোনও রাজনৈতিক দলের কর্মসূচির সঙ্গে প্রায় সমধর্মী। খসড়া কর্মসূচিতে ব্যতিক্রম কেবল ৫ নম্বর দফার দ্বিতীয় অংশটি। এই অংশে বলা হয়েছে— ‘রাষ্ট্রপতি কিংবা সরকার প্রধান একইসঙ্গে দলীয় প্রধান হতে পারবেন না; কোনও ব্যক্তি দুই মেয়াদের (১০ বছর) অধিক সরকার প্রধান কিংবা পাঁচ মেয়াদের (১০ বছর) বেশি দলীয় প্রধান বা অন্য কোনও পদ বা একাধিক পদে মিলিতভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না।’

রাজনৈতিক দলগুলোর সূত্র বলছে, দলীয় প্রধানের পদে থাকার বিষয়ে এ ধরনের কর্মসূচি এই প্রথম কোনও রাজনৈতিক সংগঠন দিয়েছে। এ বিষয়ে গণ অধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নুর বলেন, ‘আমরা এই চর্চা শুরু করেছি। অন্য দলগুলোও যদি গণতান্ত্রিক চর্চার মধ্য দিয়ে যেতে চায়, তারাও এটা ফলো করতে পারে। আমরা গণতান্ত্রিক চর্চার অংশ হিসেবেই এই বিষয়টিকে কর্মসূচি আকারে যুক্ত করেছি।’

ঘোষণাপত্রে গণ অধিকার পরিষদ উল্লেখ করেছে, ‘বাংলাদেশ রাষ্ট্র এক দীর্ঘস্থায়ী বিপদে পড়েছে। জনপ্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, বিচার বিভাগ, সশস্ত্র বাহিনীর মতো প্রতিষ্ঠানের দলনিরপেক্ষ বলে যে অবস্থান নেওয়ার কথা ছিল, তা আজ নেই।’

গণ অধিকার পরিষদের ২১ দফা খসড়া কর্মসূচি

আত্মপ্রকাশকালে বাংলাদেশ গণ অধিকার পরিষদ ২১ দফা খসড়া কর্মসূচি ঘোষণা করে।  এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য অংশ হচ্ছে— গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার। সংগঠনটির খসড়া কর্মসূচিতে এ প্রসঙ্গে উল্লেখ করা হয়েছে— ‘গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারে সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার’ গঠনের মাধ্যমে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করা।

দলের নতুন আহ্বায়ক ড. রেজা কিবরিয়া সাংবাদিকদের বলেন, ‘যদি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন না হয়, আমরা সেই নির্বাচনে যাবো না।

খসড়া কর্মসূচিতে আরও  বাকি যে বিষয়গুলো উল্লেখ করা হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে— ন্যায়বিচার ও সুশাসন, নারী অধিকার, সংখ্যালঘু জাতিসত্ত্বা ও ধর্মাবলম্বী। সংখ্যালঘু জাতিসত্ত্বা ও ধর্মাবলম্বী পর্বে সংগঠনটি উল্লেখ করেছে— সহনশীলতার নীতি ও সংস্কৃতিকে সর্বোচ্চ পৃষ্ঠপোষকতা দেওয়া হবে। খসড়া কর্মসূচিতে রয়েছে— ক্ষমতার ভারসাম্য, দুর্নীতি প্রতিরোধ, গণমাধ্যম ও বাক স্বাধীনতা।

খসড়ার পররাষ্ট্রনীতি পর্বে বলা হয়েছে, বাংলাদেশবিরোধী ঘৃণা প্রচার ও সীমান্ত হত্যা বন্ধ এবং রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসনে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া।

খসড়া কর্মসূচিতে আরও রয়েছে— জনস্বাস্থ্য সেবা, দখল ও দূষণ প্রতিরোধ, খাদ্য ও পুষ্টি ও জ্বালানি, খনিজ ও প্রাকৃতিক সম্পদের বিষয়গুলো।

বাংলাদেশ গণ অধিকার পরিষদের দায়িত্বশীলসূত্র জানায়, খসড়া কর্মসূচি কাউন্সিলের মধ্য দিয়ে চূড়ান্ত করা হবে। এর আগে আরও সংযোজন ও বিয়োজন হবে। তবে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সূত্রগুলো বলছে, দেশের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোসহ অন্যান্য ডান-বাম ও ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক সংগঠনগুলোর মতো প্রায় সমধর্মী কর্মসূচি দিয়েছে গণ অধিকার পরিষদ। সেক্ষেত্রে নতুনত্ব বা ভিন্ন প্রায় কম।

নতুন দলের ঘোষণাকালে দলটির ২১ দফা খসড়া কর্মসূচি পাঠ করেন যুগ্ম আহ্বায়ক মুহাম্মদ রাশেদ খান। নতুন সংগঠনের চারটি মূলনীতির কথা জানান তিনি। এগুলো হচ্ছে— গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার, অধিকার এবং জাতীয় স্বার্থ।

রেজা কিবরিয়া বলেন, ‘দেশটাকে গত ৫০ বছর যারা পরিচালনা করেছেন, আমরা সেই পরিচালনা নীতিতে পরিবর্তন আনবো। এই পরিবর্তন আসবে প্রশাসনিক, বৈষম্য বেড়েছে; আমরা বৈষম্য নির্মূল করবো। দেশের স্বার্থকে সামনে রেখে প্রাধান্য দিয়ে রাজনীতি করবো। গত ১২ বছর ধরে মানুষের অধিকারকে নষ্ট করা হয়েছে, আমরা মানুষের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার রাজনীতি করবো।’

নতুন দলের কর্মসূচি ঠিক হবে আরও কিছুদিন পর

মঙ্গলবার নতুন দলের ঘোষণার পর রাজনৈতিকসহ বিভিন্ন মহল থেকে অভিনন্দন, শুভেচ্ছাবার্তা পাচ্ছেন নুরুল হক নুর। ২০১৮ সালে কোটাবিরোধী আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আলোচনায় আসা এই নেতা দেশের রাজনীতিকদের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছাবার্তা পেয়েছেন বলে জানান। নুর বলেন, ‘নতুন দলের ঘোষণার পর সাড়া পাচ্ছি। অনেকেই ফোন করে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।’

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে নুর বলেন, ‘আমরা কেবল আত্মপ্রকাশ করেছি। কী কর্মসূচির মাধ্যমে আমরা সক্রিয় হবো, এটা নিয়ে কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটি আলোচনা করে ঠিক করবে।’

প্রসঙ্গত, নতুন দল গঠনের দিনই মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় সংগঠনের আহ্বায়ক রেজা কিবরিয়ার গুলশানের বাসভবনে সাংগঠনিক জরুরি বৈঠক সেরে নিয়েছেন গণ অধিকার পরিষদের শীর্ষ নেতারা।

এ জাতীয় আরও খবর
© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২০ দৈনিক তৃণমূল সংবাদ
Theme Customized BY Theme Park BD