লোহা পেটানোর টুং টাং শব্দ কামারপট্টিতে আগের মত বাজেনা
এইচ এম জুয়েল:- কোরবানির ঈদ এলেই ব্যস্ততা বাড়ে কামারপট্টিতে। রাজধানীর সহ দেশের বিভিন্ন এলাকা প্রতিনিধিরা ঘুরে দেখেন, বাজারে কামারপট্টিতে বিক্রির জন্য ছুরি–চাপাতি, দা–বটি সাজিয়ে রেখেছেন দোকানের সামনে। দোকানের আশপাশে গেলেই কানে আসছে হাতুড়ি দিয়ে লোহা পেটানোর টুং টাং শব্দ ও শান দেয়ার আওয়াজ। কোরবানির পশু জবাই ও মাংস কাটার ছুরি, চাপাতি, দা–বটি,কুড়াল কিনতে কামারপট্টিতে ক্রেতারা ভীড় করছেন। এবং ঘরে থাকা জং ধরা পুরোনো দা–বটি শান দিতে অনেকেই আসছে কামারদের কাছে। এখন ব্যস্ত সময় পারকরছে তারা।
কামার দোকানিরা বলছেন–করোনাভাইরাস মহামারি, বন্যার কারনে ব্যাবসা মন্দা। আবার বিদেশি ইষ্টিলের তৈরি সরঞ্জাম দিন দিন জনপ্রিয়তার নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে দেশিও লোহার তৈরী সরঞ্জামের উপর আমাদের ব্যবসায় আগের মত নেই। এবারের ঈদে কোরবানি দেওয়া দাতার সংখ্যাও কমবে। ফলে কামারদের তৈরি পণ্যও কম বিক্রির শঙ্কায় তারা। গত বারের চেয়ে এবার জিনিসপত্রের দাম একটু বেশি। বেড়েছে লোহা ও কয়লার দাম একই সঙ্গে কামারশিল্পীদের দিন মজুরিও বেড়েছে। এদিকে লকডাউনের কারনে বরিশাল–যশর থেকে আসতে না পারায় তেঁতুল গাছের খাইট্টা ও হোগল পাতার চাটাই দামও চড়া।
দা ও চাপাতি, স্প্রিং ও জাহাজের লোহা দিয়ে এসব জিনিসপত্র বানানো হয়। তবে স্প্রিংয়ের দা ও চাপাতির দাম বেশি। এক কেজি ওজনের চাপাতি বিক্রি করছি ৭০০–১০০০ টাকা, ছুরি ৬০– ২০০ টাকায়, গরু জবাইয়ের বড় ছুরি ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা এবং বটি আকারভেদে ১০০ থেকে ১০০০ টাকা বিক্রি করছে। কিন্তু এবারও কড়া লকডাউনের কারনে ব্যাবসা ধস।