1. admin@dainiktrinamoolsangbad.com : admin :
সোমবার, ০৫ জুন ২০২৩, ০৫:৪০ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
পাথরঘাটায় পরিত্যক্ত ভবনে লাইব্রেরী” প্রচন্ড তাপদাহে টিনশেডে শিশুদের ক্লাস! মঠবাড়িয়া রিপোর্টার্স ক্লাবের “সভাপতি নাজমুল-সম্পাদক কামরুল! হিজলায় প্রতিবন্ধী ও অসহায় পরিবারের মাঝে এফ এ আর গ্রুপের গরু বিতরণ জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ ২০২৩’ ভান্ডারিয়ায় কলেজ পর্যায় শ্রেষ্ঠ শ্রেণী শিক্ষক “নুরুজ্জামান হাওলাদার ঘূর্ণিঝড়ে জন্ম নিয়েছে শিশু” মা’ নাম রেখেছে মোখা! ভান্ডারিয়ায় শিক্ষক কর্মচারী ঐক্য জোটের কমিটি গঠন, সভাপতি মনির-সম্পাদক পলাশ! পিরোজপুর জেলা জাতীয় যুব সংহতির”  হাফিজুর রহমান আহবায়ক ও আবুল কালাম সদস্য সচিব। মঠবাড়িয়ায় মানবসেবা সংগঠনের পক্ষ থেকে অসুস্থ ছাত্রীকে “আর্থিক সহায়তা। র‌্যাবের অভিযানে “মঠবাড়িয়া পুলিশের উপর হামলার ৫ আসামি গ্রেপ্তার। আত্ম কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে ভান্ডারিয়ায় যুব মহিলাদের প্রশিক্ষণ।

করোনার টিকায় অনিশ্চয়তা

এইচ এম জুয়েল
  • আপডেট সময় : মঙ্গলবার, ৫ জানুয়ারি, ২০২১
  • ২৪৪ বার পঠিত

দেশে করোনা সুরক্ষায় অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা প্রাপ্তি নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের এ টিকা রপ্তানির অনুমোদন না থাকায় এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

অথচ তিন কোটি ডোজ টিকা কেনার জন্য সেরামের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে। মানুষের শরীরে টিকা দেওয়ার মতো সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।

এ অবস্থায় সেরামের এ খবরে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। তবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক দেশবাসীকে আতঙ্কিত না হতে পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বলেন, করোনার টিকার বিষয়ে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে যে চুক্তি হয়েছে তার কোনো ব্যত্যয় ঘটবে না।

সোমবার মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, যেহেতু একটি সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে, তাই টিকা কবে পাব সেটি নিশ্চিত করে এখনই বলা যাচ্ছে না। আশা করছি দু-একদিনের মধ্যে বিস্তারিত জানা যাবে।

এদিকে সোমবার সন্ধ্যায় টিকা আমদানির অনুমোদন দিয়েছে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। প্রতিষ্ঠানের পরিচালক মো. আইয়ুব হোসেন  তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, ‘মহামারি আইন অনুযায়ী বিশেষ পরিস্থিতি বিবেচনায় আজ (সোমবার) বেক্সিমকোকে টিকা আমদানির অনাপত্তি (এনওসি) দেওয়া হয়েছে। এর আগেই সরকার মানুষকে টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।’

ভারত সরকার রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দিলেও আগেই চুক্তি হওয়ায় বাংলাদেশের টিকা পেতে সমস্যা হবে না বলে জানিয়েছেন বেক্সিমকো ফার্মার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) নাজমুল হাসান পাপন।

তিনি বলেন, চুক্তি অনুযায়ী সেরাম ইনস্টিটিউটকে অর্থ পরিশোধ এবং বাংলাদেশে নিবন্ধন পেলে এক মাসের মধ্যেই টিকা আসবে। সোমবার রাজধানীর গুলশানে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা জানান।

এর আগে রোববার সিরামের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আদার পুনেওয়ালার বরাত দিয়ে একাধিক আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা এবং ভারতের স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, তারা এই মুহূর্তে টিকা রপ্তানি করতে পারছে না।

ভারতীয় একটি টিভি চ্যানেলে (সিএনবিসি টিভি এইটিন) দেওয়া সাক্ষাৎকারে মি. পুনাওয়ালা বলেন, এখনো এ বিষয়ে তারা কোনো লিখিত নির্দেশনা না পেলেও কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনায় তারা বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছেন।

সেখানে তিনি বলেন, আমাদের যে লাইসেন্স আছে সেটি অনুযায়ী, এই মুহূর্তে আমরা রপ্তানি করতে পারব না এবং খোলাবাজারে বিক্রি করতে পারব না।

সোমবার প্রতিষ্ঠানটির জনসংযোগ কর্মকর্তা মায়াঙ্ক সেন দিল্লিতে বিবিসিসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমকে জানান, তাদের তৈরি টিকা এখন ভারতের বাইরে রপ্তানি করা যাবে না।

তারা জানিয়েছে, টিকা রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞার যে খবর প্রকাশিত হয়েছে, তা পুরোপুরি সঠিক নয়। কারণ তাদের টিকা রপ্তানির ওপর কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই।

তবে কোম্পানিটি এখন অন্য দেশে টিকা রপ্তানির অনুমতি পাওয়ার প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে। যা পেতে কয়েক মাস পর্যন্ত সময় লেগে যেতে পারে।

তবে রপ্তানি শুরুর আগেই ভারত সরকারকে ১০ কোটি টিকা দেওয়ার বিষয়ে সম্মত হয়েছে। এই মুহূর্তে তারা রপ্তানি করতে পারবে না, যেহেতু তাদের রপ্তানির অনুমতি নেই।

এ অবস্থায়ও বাংলাদেশ আগামী মাসে ৫০ লাখ ডোজ টিকা পাবে বলে আশা করছে। এই টিকা সেরাম ইনস্টিটিউটের কাছ থেকেই পাওয়ার কথা।

প্রতি মাসে ৫০ লাখ ডোজ হিসেবে পুরো তিন কোটি ডোজ টিকার জন্য অগ্রিম হিসেবে ৬শ কোটি টাকা সেরামের অ্যাকাউন্টে জমা দেওয়ার বিষয়ে আনুষ্ঠানিকতাও প্রায় চূড়ান্ত বলে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়।

স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ব্রিফিং : আন্তর্জাতিক ও ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে সময়মতো টিকা প্রাপ্তি নিয়ে দেশের মানুষের মনে শঙ্কা দেখা দিলে সোমবার দুপুরে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক মন্ত্রণালয়ে প্রেস বিফ্রিংয়ের আয়োজন করেন।

সেখানে তিনি বলেন, ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক মানের চুক্তি করেছে। পাশাপাশি ভারত বাংলাদেশের বন্ধু রাষ্ট্র। ভারতের হাইকমিশনারও টিকা প্রদানে আশ্বাস দিয়েছেন। তাদের কথায় আমরা আশ্বস্ত হয়েছি।

শঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই, সবকিছু মিলে সরকার সময়মতোই টিকা পাবে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সম্প্রতি ভারত সরকার তাদের দেশে অক্সফোর্ডের টিকা প্রদানের অনুমতি দিয়েছে। তবে টিকা প্রয়োগে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন প্রয়োজন।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় আবেদন করলে কমপক্ষে তিন সপ্তাহ সময় লাগে। এসব কারণে ওদের দেশেও টিকা প্রয়োগে আরও কিছুটা সময় লাগবে। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে টিকা আনা সংক্রান্ত সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।

দেশের ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর, সিএমএইচডি, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের টিকা সংশ্লিষ্ট অন্য শাখাগুলোকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এখন চুক্তি অনুযায়ী টিকা আনার ব্যাপারে সরকার উদ্যোগী ভূমিকা অব্যাহত রাখছে।

ভারত সরকারও চুক্তি মোতাবেক আমাদের সময়মতো টিকা দেবে বলে অবগত করেছে। সুতরাং টিকা পাওয়া নিয়ে এই মুহূর্তে উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণ নেই।

মন্ত্রী বলেন, নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে আমরা পুরোপুরি অবগত নই। তবে এ বিষয়ে ইতোমধ্যে আমরা বেক্সিমকো, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ভারতীয় হাইকমিশন এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সেদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি।

তারা আমাদের আশ্বস্ত করেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদনের পর টিকা আমরা পাব। তারা ইতোমধ্যে সেখানে আবেদন করেছে। আশা করছি তারা দ্রুতই অনুমোদন পাবে।

তাদের সঙ্গে আমাদের যেটুকু আলোচনা হয়েছে, তাতে টিকা না পাওয়ার কোনো কারণ দেখছি না। তা ছাড়া আমাদের যে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি হয়েছে সেটি আন্তর্জাতিক মানের।

চুক্তি অনুযায়ী ইতোমধ্যে আমরা ১২০ মিলিয়ন ডলারও তাদের প্রদান করেছি এবং তার বিপরীতে তারা আমাদের ব্যাংক গ্যারান্টি দিয়েছে।

মন্ত্রী আরও বলেন, ভারতে সেরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে শুধু আমাদের নয়, আরও অনেক দেশের চুক্তি হয়েছে। আজকের আলোচনায় আমরা নিরাশ নই, আমাদের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে-তার সম্মান তারা রাখবে।

ব্রিফিংকালে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল মান্নান বলেন, ভারত সরকার শুধু বাণিজ্যিকভাবে টিকা বিক্রি ও বিপণনেন ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।

বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে হওয়া চুক্তির ওপর ভারতের নিষেধাজ্ঞা থাকবে না বলেই বাংলাদেশে অবস্থিত ভারতীয় হাই-কমিশনের ডেপুটি হাই-কমিশনার আমাকে নিশ্চিত করেছে।

তা ছাড়া আমরা যে চুক্তি করেছি সেটি কোনো সাধারণ চুক্তি নয়। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ফেব্রুয়ারিতেই আমরা টিকা পাব। টিকা আসার পর আমাদের দেশে যেন দেরি না হয়, সেজন্য ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরকে সব প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে।

ব্রিফিংকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মাহাবুবুর রহমান, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এনায়েত হোসেন, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সাহান আরা বানু, নার্সিং ও মিডওয়াইফাই অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সিদ্দিকা আক্তার উপস্থিত ছিলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, এই খবরটি তিনি বাংলাদেশের গণমাধ্যম মারফত পেয়েছেন। এরপর ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাই-কমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি।

তারা জানিয়েছে তারা এ ব্যাপারে কিছু জানে না। কী হয়েছে তারা জানার চেষ্টা করছে। আমরা এ নিয়ে ভারতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রাখছি।

তবে মোমেন আশা প্রকাশ করেন, ভারত যদি নিষেধাজ্ঞা দেয়ও, তাহলেও তাদের সঙ্গে বাংলাদেশের যে উষ্ণ সম্পর্ক, তাতে আমাদের টিকা পেতে কোনো সমস্যা হবে না বলে আশা করি।

ভারতের সিদ্ধান্তে চিন্তিত নয় বেক্সিমকো : ভারত সরকার রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দিলেও আগেই চুক্তি হওয়ায় বাংলাদেশের টিকা পেতে সমস্যা হবে না।

চুক্তি অনুযায়ী দেশটির প্রতিষ্ঠান সেরাম ইনস্টিটিউটকে অর্থ পরিশোধ এবং বাংলাদেশে নিবন্ধন পেলে এক মাসের মধ্যেই ভ্যাকসিন আসবে।

সোমবার রাজধানীর গুলশানে এক ব্রিফিংয়ে এ কথা জানিয়েছেন এই প্রক্রিয়ায় সম্পৃক্ত বাংলাদেশি কোম্পানি বেক্সিমকো ফার্মার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) নাজমুল হাসান পাপন।

এ সময়ে তিনি স্পষ্ট করেন, টিকা সংক্রান্ত চুক্তি ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের নয়। এখানে সেরাম, বেক্সিমকো এবং বাংলাদেশ সরকার আলাদা তিনটি পক্ষ।

এর আগে ভারত সরকার রোববার সেরাম ইনস্টিটিউট উৎপাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রেজেনেকার ভ্যাকসিন জরুরি প্রয়োগে অনুমোদন দেয়। একইসঙ্গে বলা হয়েছে, তাদের চাহিদা না মিটিয়ে অন্য কোনো দেশে রপ্তানি করা যাবে না।

ব্রিফিংয়ে নাজমুল হাসান পাপনও সেরামের টিকা পাওয়ার বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, ভারত সরকার সেরামকে যেভাবে টিকা রপ্তানি করতে নিরুৎসাহিত করেছে, সেটি যৌক্তিক।

তবে আমাদের সঙ্গে সেরামের যে চুক্তিটি হয়েছে, সেটি একটি আন্তর্জাতিক চুক্তি। এ ধরনের চুক্তি বাতিল হওয়ার কোনো আশঙ্কা নেই। বাংলাদেশ এই টিকার নিন্ধন দিলে এক মাসের মধ্যে টিকা চলে আসবে।

প্রতি মাসে ৫০ লাখ করে ছয় মাসে তিন কোটি ডোজ টিকা বাংলাদেশ পাবে, এটি নিয়ে কোনো অনিশ্চয়তা দেখছি না। তিনি আরও বলেন, চুক্তি অনুযায়ী টিকা পেতে দুটি কাজ করতে হবে বাংলাদেশকে।

প্রথমত, টিকার জন্য কিছু টাকা অগ্রিম পরিশোধ করতে হবে। সেটির জন্য আরও কয়েকদিন বাকি আছে। এরসঙ্গে টিকা বাংলাদেশে প্রয়োগের জন্য প্রয়োজনীয় অনুমতি দিতে হবে।

এই দুটি কাজ যত দ্রুত করা সম্ভব হবে, তত দ্রুত বাংলাদেশে টিকা আসবে। পাপন জানান, এরইমধ্যে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের কাছে সেরামের এই টিকা দেশে প্রয়োগের অনুমতি চেয়ে আবেদন করা হয়েছে।

ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর অনুমোদন দিলে সেটি সিরামকে জানিয়ে দিতে হবে। তাহলে আর এই টিকা পাওয়া নিয়ে কোনো সমস্যা হবে না।

সিরামের সঙ্গে চুক্তি জি-টু-জি নয় উল্লেখ করে, পাপন বলেন, আমি জানি না উনি (স্বাস্থ্য সচিব) কীভাবে জি-টু-জি চুক্তির কথা বলেছেন।

তবে আমাদের এই চুক্তি জি-টু-জি নয়। এই চুক্তিতে সেরাম, বেক্সিমকো এবং বাংলাদেশ সরকার তিনটি আলাদা পক্ষ। এটি একটি আন্তর্জাতিক চুক্তি।

এই চুক্তি অনুযায়ী সেরাম টিকা উৎপাদন করবে, বাংলাদেশ সরকার টিকার জন্য প্রয়োজনীয় অনুমোদন ও টাকা দেবে। আর বেক্সিমকো সিরামের কাছ থেকে এই টিকা বাংলাদেশে নিয়ে আসবে।

টিকা পাওয়ার বিষয়ে ফের আশাবাদ জানিয়ে পাপন বলেন, এ ধরনের আন্তর্জাতিক চুক্তি আমরা আরও অনেক করেছি। কোনোটিই বাতিল হয়নি। আরেকটি কথা আমি বলতে চাই।

করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার কারণে ভারত করোনা চিকিৎসায় সংশ্লিষ্ট ওষুধের কাঁচামাল রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল। আমরা কিন্তু ওই সময়ও এসব কাঁচামাল এনেছি।

কারণ, আমাদের সঙ্গে তাদের চুক্তি ছিল আগে থেকেই। আমরা এখন পর্যন্ত নিশ্চিত, যে চুক্তিটি হয়েছে, সেটি ভারত সরকারের নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসবে না।

আমরা যথানিয়মে টিকা পাব। এ সময় তিনি সরকারের পক্ষে করণীয় দুটি বিষয়ে অগ্রিম অর্থ পরিশোধ ও টিকার অনুমোদন দ্রুত শেষ করার আহ্বান জানান।

এ জাতীয় আরও খবর
© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২০ দৈনিক তৃণমূল সংবাদ
Theme Customized BY Theme Park BD