ভান্ডারিয়ায় এক সন্তানের জননীর রহস্যজনক মৃত্যু ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার: আটক ৩
নিজস্ব প্রতিনিধি:- পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ায় এক সন্তানের জননী গৃহবধুর রহস্যজনক মৃত্যু । আজ (৩০ আগস্ট) সোমবার দুপুরের ভাণ্ডারিয়া পৌর শহরের ৮ নং ওয়ার্ডের কানুয়া মহল্লার শিরিন মঞ্জিল থেকে জান্নাতুল ফেরদৌস মুনমুন (২৫) নামের এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে ভান্ডারিয়া থানা পুলিশ। মুনমুন পার্শ্ববর্তী কাউখালী উপজেলার কেউন্দিয়া গ্রামের আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীরের মেয়ে। এবং তাদের তাসমিয়া নামের সাড়ে ৩ বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।
এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ (নিহত মুনমুনের ) স্বামী সুমন হাওলাদার, শ্বাশুরী শিরিন বেগম, ননদ নুপুর আক্তারকে আটক করেছে।
সকালে স্বামী সুমন মোবাইলে মুনমুনের ছোটবোন সিনিগ্ধা কে জানায় মুনমুন রুমের দরজা খুলছে না। ভিতরে কোন সাড়াশব্দ নেই তোমরা দ্রুত আসো।
মুনমুনের মা মমতাজ বেগম জানান, পাঁচ বছর আগে ভান্ডারিয়া পৌর এলাকার ৮ নং ওয়ার্ডের কানুয়া গ্রামের বাসিন্দা ভান্ডারিয়া বন্দরের ব্যবসায়ী মোঃ সোহরাব হোসেন হাওলাদারের ছেলে সুমন হাওলাদারের সাথে মুনমুনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে সুমন একাধিক পরকীয়ায় জড়িয়ে যায় এ নিয়ে প্রায়ই মুনমুনকে মারধর করতো। এসময় তিনি আরো বলেন আমার মেয়ে শান্তশিষ্ট সে আত্মহত্যা করতে পারে না। তাকে হত্যা করে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।
সুমনের দুলাভাই কবির বেপারী জানান, দাম্পত্য জীবনে কলহে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটতে পারে। পুলিশ ও স্থানীয় কাউন্সিলর এসে দরজা ভেঙ্গে জানালার উপার ভেন্টিলেটর থেকে ঝুলন্ত মৃত দেহ উদ্ধার করেছে। এই ঘরে প্রবেশের একটিই মাত্র দরজা তাই এটি হত্যাকান্ড নয়। আত্মহত্যা।
৮ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মানিক হাওলাদার জানান, দরজা ভিতর থেকে দেয়া ছিলো আমরা ভাঙ্গার পর ঝুলন্ত মৃতদেহ দেখতে পাই।
ভান্ডারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: মাসুমুর রহমান বিশ্বাস জানান, মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এটি আত্মহত্যা না কি হত্যা পোস্টমর্টেমের রিপোর্টের পর জানা যাবে। এ ব্যাপারে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মুনমুনের স্বামী সুমনকে সহ তিন জনকে আটক করা হয়েছে।