একনেক সভায় গান গাইলেন প্রধানমন্ত্রী চিলমারী বন্দর-বরিশালসহ ১০প্রকল্প অনুমোদন
এইচ এম জুয়েল :- জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় কুড়িগ্রামের চিলমারীতে নদীবন্দর নির্মাণ প্রকল্পের বিষয়ে আলোচনা করতে গিয়ে সেই বিখ্যাত ভাওয়াইয়া গান গেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সুরে সুরে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ওকি গাড়িয়াল ভাই ‘হাঁকাও গাড়ি তুুমি চিলমারী বন্দরে। জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে ১০টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ১০ প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৬ হাজার ৬৫১ কোটি ৩৪ লাখ টাকা।
মঙ্গলবার (৮ জুন) গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে ২০২০-২১ অর্থবছরের ২৬তম বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
অন্যদিকে আগারগাঁওয়ের এনইসি সম্মেলন কক্ষে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী ও সচিবরা উপস্থিত ছিলেন। একনেক বৈঠক শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ‘চিলমারী কিন্তু একসময় বিখ্যাত বন্দর ছিল। দেশভাগের পর আসামের সঙ্গে লিংক নষ্ট হওয়ায় গুরুত্ব কমে গেছে। এখন যেহেতু আমরা আঞ্চলিক ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়াচ্ছি, প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতের সঙ্গেও বাড়াচ্ছি। চিলমারী বন্দরটা আবার আগের জায়গায় যাবে।
একনেকে অনুমোদন হওয়া প্রকল্পগুলো হচ্ছে- ‘বরিশাল (দিনেরারপুল) লক্ষ্মীপাশা-দুমকি সড়কের (জেড-৮০৪৪) ২৭তম কিলোমিটারে পান্ডব-পায়রা নদীর ওপর নলুয়া-বাহেরচর সেতু নির্মাণ’ প্রকল্প। ‘মধুপুর-ময়মনসিংহ জাতীয় মহাসড়ক (এন-৪০১) যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ’ প্রকল্প। ‘চিলমারী এলাকায় (রমনা, জোড়গাছ, রাজিবপুর, রৌমারী, নয়ারহাট) নদী বন্দর নির্মাণ’ প্রকল্প। ‘বিপিএটিসি’র প্রশিক্ষণ সক্ষমতা বৃদ্ধিকরণ (১ম সংশোধিত)’ প্রকল্প। ‘বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ান্স অ্যান্ড সার্জন্সের আধুনিকায়ন ও সম্প্রসারণ’ প্রকল্প।
এছাড়া, ‘সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর উপজেলাধীন ব্রাহ্মণগ্রাম-হাটপাঁচিল ও তৎসংলগ্ন এলাকায় যমুনা নদীর ডানতীর সংরক্ষণ এবং বেতিল স্পার-১ ও এনায়েতপুর স্পার-২ শক্তিশালীকরণ’ প্রকল্প। ‘ঠাকুরগাঁও জেলার টাঙ্গন ব্যারেজ, বুড়ি বাঁধ ও ভুল্লি বাঁধ সেচ প্রকল্পসমূহ পুনর্বাসন, নদীতীর সংরক্ষণ ও সম্মিলিত পানি নিয়ন্ত্রণ অবকাঠামো নির্মাণ’ প্রকল্প। ‘জীব প্রযুক্তির মাধ্যমে কৃষিবীজ উন্নয়ন ও বর্ধিতকরণ’ প্রকল্প। ‘দেশের বিভিন্ন স্থানে ধান শুকানো, সংরক্ষণ ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক সুবিধাদিসহ আধুনিক ধানের সাইলো নির্মাণ (প্রথম ৩০টি সাইলো নির্মাণ পাইলট প্রকল্প)। ‘বাখরাবাদ- মেঘনাঘাট- হরিপুর গ্যাস সঞ্চালন পাইপলাইন নির্মাণ’ প্রকল্প।