সশস্ত্র মুক্তিযোদ্ধারা হানাদার বাহিনীর গানবোট ডুবানোরচেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হলে কিছু সংখ্যক মুক্তিযোদ্ধাভান্ডারিয়া থানার পার্শ্ববর্তী ইউনিয়ন ভিটাবাড়িয়া গ্রামেরপোনা নদীর মুখে শিয়ালকাঠী এলাকায় আরও কিছুমুক্তিযোদ্ধা মিলে শক্তি বৃদ্ধি করে প্রতিরোধের জন্য ঘাঁটিগড়েন।
এসময় হানাদারদের গানবোট ডুবিয়ে তাদের ওপর সশস্ত্রহামলার পরিকল্পনা করে। সে অনুযায়ী মুক্তিযোদ্ধাদেরমূহুর্মূহু গুলিতে পাক হানাদারের কয়েকজন নিহত হয়এবং গানবোটের তলা ছিদ্র হয়ে ডুবে গেলে পাকহানাদাররা পিছু হটে। এইদিন ভান্ডারিয়া সম্পূর্ণ হানাদারমুক্ত হয়।
এইদিনে ভান্ডারিয়ার সকল মুক্তিযোদ্ধারা শহরে প্রবেশকরে মুক্তিযোদ্ধা-জনতা মিলে জয়বাংলা ধ্বনিতে বিজয়মিছিল করে উল্লাস প্রকাশ করেন।
এ বিষয়ে মুক্তিযুদ্ধকালীন কমান্ডার সুবেদার আব্দুলআজিজ সিকদার জানান, শহরের বিহারী পাইলটমাধ্যমিক বিদ্যালয়ে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের ক্যাম্প গঠনকরা হয়। অপরদিকে, সদর ইউনিয়ন পরিষদ ভবনেহানাদার বাহিনী ক্যাম্প গঠন করে।
তিনি জানান, হানাদার বাহিনী শহরের ব্যাপক লুটপাট ওঅগ্নিসংযোগ করে ভান্ডারিয়া বন্দর পুড়িয়ে দেয়। হানাদারবাহিনী ব্যাপক ধড়পাকার চালিয়ে কঁচা নদী তীরে(বর্তমান হাসপাতাল সংলগ্ন) শত শত মানুষেকে গুলি করেহত্যা করে। এছাড়া পশারিবুনিয়া গ্রামে একটি পরিত্যাক্তবাগানে স্থানীয় ২৫ জন হিন্দু বাঙালীকে নির্বিচারে গুলিকরে হত্যা করে।